গোলের পর উল্লাস মোহনবাগানের ব্রেন্ডন হামিলের। ছবি: মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
মোহনবাগান- ২ (হামিল, আশিস)
হায়দরাবাদ- ০
কয়েক দিন আগে এই ওড়িশার মাটিতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের এএফসি কাপ। সেই ওড়িশার মাটিতেই এ বার আইএসএলে জিতল সবুজ-মেরুন। ব্রেন্ডন হামিল ও আশিস রাইয়ের গোলে হায়দরাবাদকে হারাল তারা। চলতি প্রতিযোগিতায় প্রথম পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতল মোহনবাগান। আইএসএলের ইতিহাসে আগে এই ঘটনা ঘটেনি।
আইএসএলে টানা চার ম্যাচ জিতে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। পয়েন্ট তালিকায় লাস্ট বয়ের বিরুদ্ধে শুরুটাও ভাল করেছিল তারা। শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে বাগান। ১৫ মিনিটের মাথায় গোলের সুযোগ চলে এসেছিল। সাহাল আবদুল সামাদের ক্রস থেকে শট নেন জেসন কামিন্স। বল বাঁচান গোলরক্ষক গুরমীত সিংহ। ফিরতি বল কাজে লাগাতে পারেননি কিয়ান নাসিরি।
খেলার ২৮ মিনিটের মাথায় হায়দরাবাদ বক্সের বাইরে ফ্রি কিক পায় বাগান। লিস্টন কোলাসোর শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়। সবুজ-মেরুন আক্রমণে চাপে পড়ে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারছিলেন না কামিংসেরা। তার মাঝেই প্রতি আক্রমণ থেকে ৩৫ মিনিটের মাথায় সুযোগ পায় হায়দরাবাদ। জো নোলসের মাটি ঘেঁষা শট একটুর জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে গোল আসেনি।
বিরতির পরে দু’দলই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায়। ৫০ মিনিটের মাথায় নাসিরির ক্রস থেকে কামিংসের বাঁ পায়ের শট একটুর জন্য বাইরে যায়। ৬ মিনিট পরে হায়দরাবাদের জোয়াও ভিক্টরের শটও অল্পের জন্য গোলে ঢোকেনি। যত সময় গড়াচ্ছিল তত গোল করার জন্য ছটফট করছিল বাগান। ৭৬ মিনিটে একার দক্ষতায় বক্সে বল নিয়ে যান হুগো বুমোস। কিন্তু গোল করতে পারেননি। ৮৩ মিনিটে আর্মান্দো সাদিকুর জোরালো শট ভাল বাঁচান গুরমীত।
গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন। তার ফলও মেলে। ৮৫ মিনিটের মাথায় সাহালের ডিফেন্স চেরা পাস ধরে ডান পায়ের শটে গোল করে বাগানকে এগিয়ে দেন ব্রেন্ডন হামিল। সবুজ-মেরুন জার্সিতে এই প্রথম গোল করলেন তিনি।
শেষ দিকে মাঠের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছিল। বেশ কয়েক বার ঝামেলায় জড়ান দু’দলের ফুটবলারেরা। খেলার সংযুক্তি সময় দেওয়া হয় ৮ মিনিট। এগিয়ে গেলেও আক্রমণ থামায়নি বাগান। ৯৬ মিনিটের মাথায় শুভাশিস বসুর ক্রস থেকে শট মারেন বুমোস। সেই বল গুরমীত বাঁচিয়ে দিলেও ফিরতি বলে আশিসের শট বাঁচাতে পারেননি তিনি। ২-০ এগিয়ে য়ায় বাগান। সেখান থেকে আর ফেরার সুযোগ ছিল না হায়দরাবাদের। হেরে মাঠ ছাড়ে তারা।