Manipur Violence

মণিপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব উধাও ফুটবল মাঠে, খেলা মিলিয়ে দিল কুকি, মেইতেইদের

ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোল করেন ভরত লাইরেনজাম এবং লেভিস জাংমিনলুন। প্রথম জন মেইতেই এবং দ্বিতীয় জন কুকি। গোল করার পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁরা। মণিপুরে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মে মাস থেকে লড়াই চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৩২
Share:
Representative image of football

—প্রতীকী চিত্র।

অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে মণিপুরের ১৬ জন ফুটবলার। ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোল করেন ভরত লাইরেনজাম এবং লেভিস জাংমিনলুন। প্রথম জন মেইতেই এবং দ্বিতীয় জন কুকি। গোল করার পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন তাঁরা। মণিপুরে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মে মাস থেকে লড়াই চলছে। এক দিকে আগুন জ্বলছে রাজ্যে, তখন ফুটবল মাঠে দুই গোষ্ঠীর ফুটবলারেরা একে অপরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন।

Advertisement

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২৩ জনের দল গড়েছে ভারত। এর মধ্যে মণিপুরের ১৬ জন ফুটবলার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন মেইতেই, চার জন কুকি এবং এক জন মেইতেই পঙ্গল। তাঁরা সকলেই চাইছেন রাজ্যে শান্তি ফিরে আসুক। রবিবার ৯ মিনিটের মাথায় গোল করেন বিষ্ণুপুরের নাম্বলের বাসিন্দা ভরত। ৭৪ মিনিটের মাথায় ভারতের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন চুরচাঁদপুরের লেভিস। ভরত বলেন, “আমরা বিভিন্ন গোষ্ঠীর হতে পারি, কিন্তু দলের জন্য এক হয়ে খেলি। ম্যাচের আগে লেভিস বলেছিল যে আমাদের গোল করতে হবে। ট্রফি জয়ের জন্য ওর গোলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরি লেভিসকে।”

লেভিস জানিয়েছেন যে, ফাইনাল খেলতে নামার আগে বেশ চাপে ছিলেন তিনি। লেভিস বলেন, “আমার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে গোলটা করার পর। দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল গোলটা। ফুটবলের মাঠে সবার লক্ষ্য একটাই থাকে। এখানে সকলের মধ্যে মিল হয়ে যায়। দলের মধ্যে একাত্মবোধ তৈরি করে।”

Advertisement

লেভিসের মতো চুরচাঁদপুরের বাসিন্দা চিংলেনসানা সিংহ। আইএসএলে হায়দরাবাদ এফসি-র হয়ে খেলেন তিনি। চিংলেনসানা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, “আমার সব কিছু চলে গিয়েছে। মণিপুরের হিংসা আমাদের সব কেড়ে নিয়েছে। আমাদের যা ছিল সব কিছু চলে গিয়েছে। আমাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। চুরাচাঁদপুরে আমি একটা ফুটবল মাঠ বানিয়েছিলাম, সেটাও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাল লাগছে না। ছোটদের ফুটবল খেলার জন্য জায়গাটা তৈরি করেছিলাম। সেটা শেষ করে দিল। আমার পরিবার কোনও মতে সেখান থেকে পালিয়েছে। কোনও এক ত্রাণ শিবিরে আছে ওরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement