বল দখলের লড়াই। ছবি: এক্স।
৩-১ গোলে জিতে সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠল ইস্টবেঙ্গল।
আবার ভুল করল বাগান রক্ষণ। এ বার দোষ গোলরক্ষক অর্শ আনোয়ারের। একটি নিরীহ বল ধরতে পারেননি তিনি। ফিরতি বলে গোল করলেন ক্লেটন সিলভা। ৩-১ গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। বাগান ডিফেন্ডার রবি রানার ভুলে বল পেয়ে যান ক্লেটন সিলভা। তাঁর বল পোস্টে লেগে ফেরার পথে নন্দকুমার ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন। এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল।
বিরতির ঠিক আগে পেনাল্টি পেয়েছিল মোহনবাগান। পেত্রাতোস প্রথমে গোল করেছিলেন। কিন্তু তিনি মারার আগে ফুটবলার বক্সে ঢুকে পড়ায় দ্বিতীয় বার পেনাল্টি নিতে হয় পেত্রাতোসকে। প্রথম বার গোল করলেও দ্বিতীয় বার পোস্টে মারেন তিনি। ফলে বিরতিতে খেলার ফল ১-১।
গোল খাওয়ার পর থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অনেক বেশি আক্রমণ করছে তারা। কয়েক বার গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছে। অন্য দিকে মোহনবাগান প্রতি-আক্রমণ থেকে খেলা তৈরির চেষ্টা করছে।
সমতা ফেরাল ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করলেন ক্লেটন সিলভা। আক্রমণ- প্রতি আক্রমণে জমজমাট খেলা।
গোল খাওয়ার পরে শোধ করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বাগান গোলরক্ষক কোনও রকমে বাঁচান। ফিরতি বলে গোল করতে পারেননি নন্দকুমার।
এগিয়ে গেল মোহনবাগান। দিমিত্রি পেত্রাতোসের কর্নার থেকে গোল করলেন হেক্টর ইউস্তে। লাগাতার আক্রমণের ফসল তুলল সবুজ-মেরুন।
মোহনবাগান গোলরক্ষক অর্শ আনোয়ারের ভুলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ক্লেটন সিলভা।
শুরুতেই বাতিল হয়েছে মোহনবাগানের গোল। বক্সের মধ্যে কিয়ান নাসিরির থেকে বল পেয়ে গোল করেন আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু কিয়ান অফসাইডে থাকায় বাতিল করা হয় গোল।
প্রভসুখন গিল, মহম্মদ রাকিপ, হিজাজি মাহের, হোসে পারদো, নিশু কুমার, সউল ক্রেসপো, শৌভিক চক্রবর্তী, বোরহা হেরেরা, নন্দকুমার, ক্লেটন সিলভা, হাভিয়ের সিভেরিয়ো।
অর্শ আনোয়ার, ব্রেন্ডন হামিল, রাজ বাসফোর, হেক্টর ইউস্তে, আশিস রাই, গ্লেন মার্টিন্স, অভিষেক সূর্যবংশী, হুগো বুমোস, কিয়ান নাসিরি, দিমিত্রি পেত্রাতোস, আর্মান্দো সাদিকু।