গোল করে উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। ছবি: এক্স।
২-১ গোলে মরসুমের প্রথম ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারাল ইস্টবেঙ্গল।
সংযুক্তি সময়ে একটি গোল শোধ করল মোহনবাগান। দুর্দান্ত হেডে গোল করলেন সুহেল ভাট।
এগিয়ে থাকার মাঝেই খারাপ খবর ইস্টবেঙ্গলের। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড অর্থাৎ, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল জোসেফকে। অর্থাৎ, বাকি ১৫ মিনিটের বেশি সময় ১০ জনে খেলতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
২-০ গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলে। মোহনবাগানের জঘন্য ফুটবল। ডিফেন্ডারেরা কিছু বুঝতেই পারছেন না। গোলরক্ষকের কাছ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি সৌরভ। বল কেড়ে নেন অমন। তাঁর পাস থেকে ফাঁকায় গোল করেন জেসিন। বাকি ডিফেন্ডারদের কেউ ঠিক জায়গায় ছিলেন না।
৫৯ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ানোর সহজ সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সায়নের পাস ধরে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলার। ফিরতি বল থেকে আরও দু’বার গোল করার সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। দু’বারই বল বাগান ফুটবলারদের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। বার বার ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে চাপে পড়ে যাচ্ছে মোহনবাগান।
এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। লম্বা বল ভাল ধরেন বিষ্ণু। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢোকেন। সেখানে বাগানের আরও দুই ডিফেন্ডার ছিলেন। রাজ বাসফোর ও গ্লেন মার্টিন্সের মাঝখান থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করলেন বিষ্ণু।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর শট গোললাইন সেভ হয়। ফিরতি বলেও সুযোগ পেয়েছিলেন অমন। তাঁর শট বার উঁচিয়ে চলে যায়।
গোটা প্রথমার্ধ জুড়ে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল হল। দেখে মনে হয়নি দুই প্রধান খেলছে। ফুটবলারেরা গোটা মাঠ জুড়ে দৌড়ে বেড়ালেন। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারলেন না। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে গেল দু’দল।
কিছুটা খেলা তৈরি করার চেষ্টা করছে মোহনবাগান। কয়েকটি আক্রমণ করেছে তারা। ফারদিন আলি, সুহেলদের পা ধরে আক্রমণে উঠলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি সবুজ-মেরুন।
২০ মিনিটের মাথায় সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। বক্সের বাইরে বল ধরে ভাল বল বাড়ান ডেভিড। বক্সে ঢুকে বিষ্ণুর শট পোস্টে ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ বেশি করলেও শেষ মুহূর্তে মিস্ পাস হচ্ছে। মোহনবাগানের ফুটবলারদেরও মিস্ পাস হচ্ছে। তার ফলে মাঝেমধ্যেই খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছে।
যুবভারতীতে শুরু থেকেই আক্রমণ বাড়াচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। রোশাল, তন্ময় দাসেরা বার বার পৌঁছে যাচ্ছেন মোহনবাগান বক্সে। সুযোগও তৈরি করেছে তারা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ। মোহনবাগান কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছে। প্রতি-আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছে তারা।
রাজা বর্মণ, রাজ বাসফোর, দিপেন্দু বিশ্বাস, রবি রানা, অমনদীপ, সৌরভ ভানওয়ালা, গ্লেন মার্টিন্স, লেওয়ান কাস্টানহা, অভিষেক সূর্যবংশী, সুহেল ভাট, ফারদিন আলি।