মেসির উল্লাস (বাঁ দিকে)। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ছেন নেমার। ছবি: রয়টার্স।
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে যে দিন সাম্প্রতিক কালের সেরা ফর্মে পাওয়া গেল লিয়োনেল মেসিকে, সে দিনই চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন নেমার। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা একই দিনে খেলতে নেমেছিল। দুই দলে দুই চিত্র। মেসির জোড়া গোলে সহজেই পেরুকে হারাল আর্জেন্টিনা। অন্য দিকে, উরুগুয়ের কাছে একই ব্যবধানে হেরে গেল ব্রাজিল।
পায়ের পেশির চোটের কারণে আর্জেন্টিনা বা ইন্টার মায়ামি, কোনও দলের হয়েই ইদানীং ভাল ফর্মে দেখা যাচ্ছিল না মেসিকে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে তিনি খেলেনওনি। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপাতেই পুরনো ফর্মে দেখা গেল তাঁকে। ৩২ মিনিটে প্রথম গোল করেন মেসি। বাঁ দিক থেকে নিকোলাস গঞ্জালেজ়ের পাস থেকে চলতি বলে শটে জালে জড়ান। ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় গোল। এ বার তাঁকে পাস দিয়েছিলেন এনজ়ো ফের্নান্দেস। হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
এ দিকে, মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পান নেমার। বিরতির ঠিক এক মিনিট আগে দৌড়তে গিয়ে আচমকাই পা ঘুরে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। উঠে দাঁড়ানোরই ক্ষমতা ছিল না। কোনও মতে স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় কাঁদছিলেন নেমার।
নেমারের সম্পর্কে ব্রাজিলের চিকিৎসক দল স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার বলেছেন, “আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেখতে হবে ওর ব্যথা এবং পায়ের ফোলা কোন জায়গায় রয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার পর সেটা বোঝা যাবে বলে আশা করা যায়। লিগামেন্টে চোট কি না, সেটাও পরীক্ষাতেই বেরোবে।” চোটের ফলে কত দিন ছিটকে যাবেন সেটাও বোঝা যাচ্ছে না।
ম্যাচের পরে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন নেমার। লিখেছেন, “ঈশ্বর সব জানেন। আমার সেই বিশ্বাস রয়েছে।” ম্যাচে উরুগুয়ের হয়ে গোল করেন ডারউইন নুনেজ় এবং নিকোলাস দে লা ক্রুজ়।