নির্বাসিত থাকায় মেসি রবিবার ত্রয়েসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। নির্বাসন বহাল থাকলে আরও একটি ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যেত না। ছবি: রয়টার্স
এক সোমবারে নির্বাসিত হয়েছিলেন। আর এক সোমবারে অনুশীলনে ফিরলেন। প্যারিস সঁ জরমঁয় গত সাতটি দিন এ ভাবেই কাটল লিয়োনেল মেসির। রবিবার ফরাসি ক্লাবের তরফে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে মেসিকে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, মেসির নির্বাসন কি তুলে নেওয়া হল?
এক সপ্তাহ কেটে গেলেও মেসিকে যে নির্বাসিত করা হয়েছে তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি পিএসজি। স্বাভাবিক ভাবেই মেসির নির্বাসন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গেও চুপ তারা। কিন্তু ফরাসি সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রকাশ্যে একটি ভিডিয়োয় সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরেই মন গলেছে পিএসজি কর্তাদের। তাঁরা মেসিকে অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছেন।
নির্বাসিত থাকায় মেসি রবিবার ত্রয়েসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। নির্বাসন বহাল থাকলে আরও একটি ম্যাচে তাঁকে পাওয়া যেত না। কিন্তু দলের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে আর মাঠের বাইরে রাখতে চায়নি পিএসজি। সে কারণেই তাঁকে অনুশীলনে ফেরানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে সতীর্থদের সঙ্গে নয়, মেসি অনুশীলন করেছেন একা একা।
গত ৩ মে দু’সপ্তাহের জন্য নির্বাসিত করা হয় আর্জেন্টিনার ফুটবলারকে। অনুমতি ছাড়াই মেসি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন বলে এই শাস্তি দেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থাকে এই খবর জানায় ক্লাবের এক সূত্র। পাশাপাশি, একাধিক ফরাসি সংবাদমাধ্যমেও মেসিকে নির্বাসনের খবর প্রকাশিত হয়। এই সময়ের মধ্যে মেসি ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিতে পারবেন না, কোনও ম্যাচ খেলতে পারবেন না এবং তাঁকে এই দু’সপ্তাহের বেতনও দেওয়া হবে না বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
দু’দিন পরেই এক ভিডিয়োয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে মেসি জানান, ভেবেছিলেন ছুটি থাকবে। সফরের পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে বাতিল করা সম্ভব হয়নি। বলেন, ‘‘যা কিছু হয়েছে, তার জন্য এই বার্তাটা দিতে চেয়েছিলাম। প্রথমত, আমি ক্লাব এবং সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাইছি। সত্যি বলতে ভেবেছিলাম আগের মতোই ম্যাচের পরের দিন ছুটি পাব। তাই সৌদি আরব সফরের পরিকল্পনা করেছিলাম। আগে এক বার পরিকল্পনা করেও যেতে পারিনি। সফর বাতিল করতে হয়েছিল। যা করেছি, তার জন্য আবারও ক্ষমাপ্রার্থী আমি। এখন প্যারিসেই আছি। ক্লাবের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। আর কিছু বলতে চাই না। ভালবাসা থাকল।’’