2022 Qatar World Cup

বিশ্বকাপের দৌড়ে ব্রাজিল ও ফ্রান্সকে আগে রাখছেন মেসি

এ বার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে লাতিন আমেরিকা গ্রুপ থেকে তাঁর দেশ আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ধারাবাহিক ভাবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে কাতারের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছিল অনেকটা আগেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৫০
Share:

পরীক্ষা: কাতারে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন মেসি। ফাইল চিত্র।

কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল এবং ফ্রান্স। বক্তার নাম? লিয়োনেল মেসি।

Advertisement

স্পেনের এক পত্রিকাকে দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছেন, কাপ জেতার বড় সুযোগ রয়েছে ইংল্যান্ডেরও। তা ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেন। আর্জেন্টিনীয় তারকা বলেছেন, “যে ভাবে সাউথগেট দলকে তৈরি করেছেন এবং ইংল্যান্ড যে ধরনের ফুটবল খেলছে, তাতে ওরা কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবেই খেলতে নামবে বলে আমি মনে করি।” যোগ করেছেন, “বিশ্বকাপে বড় ঘরানার দেশগুলি সব সময়েই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকে। সেই জায়গা থেকে দেখলে ইংল্যান্ডের সঙ্গে আমার তালিকায় থাকবে ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন। এদের দিকে সব সময়েই লোকের নজর বেশি থাকে। হয়তো আরও কিছু দেশ থাকবে, তবে তাদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভাবার পরিস্থিতি নেই।”

কিন্তু আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক হিসেবে শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে কোন দুটি দলকে তিনি সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এগিয়ে রাখবেন? অকপট প্যারিস সঁ জরমঁ তারকা বলে দেন, “আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিচার করলে বিশ্বকাপের জয়ের সবচেয়ে বড় দাবিদার ব্রাজিল এবং ফ্রান্স।”

Advertisement

এ বার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে লাতিন আমেরিকা গ্রুপ থেকে তাঁর দেশ আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল ধারাবাহিক ভাবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে কাতারের ছাড়পত্র আদায় করে নিয়েছিল অনেকটা আগেই। তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আরও একটি মূল্যবান তথ্য যে, ৩৪ ম্যাচ পরাজিত রয়েছে আর্জেন্টিনা। তা হলে কেন নিজের দেশকে ফেভারিটের তালিকায় রাখতে চাইছেন না মেসি? তিনি বলেছেন, “দল নিঃসন্দেহে ভাল ফুটবল খেলেছে, তবে এখনও ফিটনেস সংক্রান্ত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গিয়েছে। তার উপরে দলের দুই অভিজ্ঞ সদস্য অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া এবং পাওলো দিবালা চোট পেয়ে গিয়েছে। হাতে সময় খুবই কম রয়েছে। তার সঙ্গেই চলছে ক্লাব ফুটবল। ফলে বিশ্রাম নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় ওরা কতটা পাবে, সেটা নিয়েও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে সেটা আমাকে বেশি ভাবাচ্ছে।”

সেখানেই শেষ নয়। মেসি মনে করেন, এ বার কাতারে এমন সময় বিশ্বকাপ হবে, যখন সমস্ত ফুটবলারই ক্লাব ফুটবলের ধকল কতটা কাটিয়ে উঠে দেশের জার্সিতে ভাল খেলতে পারবেন, সেটা নিয়ে সংশয় থাকছেই। এবং সেই সমস্যার মুখে পড়তে হবে সব দেশকেই। তিনি বলেছেন, “এই বিশ্বকাপ সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকের হতে চলেছে। বছরের এমন একটা সময় তা আয়োজিত হবে, যখন সামান্য কোনও ছন্দপতন হলে বা কেউ চোট পেলে পাল্টা ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ মিলবে না। এটা সব দলের ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রযোজ্য।“

সেই প্রসঙ্গ ধরেই মেসি বলেছেন, “আমি বিশদে খবর নিয়েছি দি মারিয়া এবং দিবালার চোট সম্পর্কে। দুজনেই যে ধরনের চোট পেয়েছে, তাতে ভয়ের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেই আমি মনে করি। ফলে মাঠে নামলে সেই নেতিবাচক বিষয়গুলো ক্রমাগত ভিড় করতে থাকে। মাথা ঠান্ডা রেখে এগিয়ে যাওয়াই কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে আমাদের কাছে।” নিজের সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে মেসির বিশ্লেষণ, “আমি যে কোনও পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ফুটবল খেলার চেষ্টা করি। যে ভাবে দলকে সাফল্য এনে দিতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি, সেই মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement