লিয়োনেল মেসি। —ফাইল ছবি।
ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে আর দেখা যাবে না লিয়োনেল মেসিকে। তিনি এ বার খেলবেন আমেরিকার মেজর লিগ সকার। আপাতত জাতীয় দলের সঙ্গে মেসি এসেছেন এশিয়া সফরে। চিনে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে এসে খোলসা করেছেন অনবদ্য ফ্রি কিক নিতে পারার রহস্য।
কী ভাবে এত নিখুঁত ফ্রি কিক মারতে পারেন মেসি? প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের তৈরি মানবপ্রাচীর এবং গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে কী করে বল জড়িয়ে দেন জালে? এর পিছনে কী রয়েছে? পরিশ্রম না প্রতিভা? আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক বেছে নিয়েছেন প্রথমটি। মেসি বলেছেন, ‘‘ফ্রি কিক নেওয়ার দক্ষতা নির্ভর করে নিয়মিত অনুশীলনের উপর। চেষ্টা করলে আপনি প্রতি দিন আরও দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন। আরও নিখুঁত হতে পারেন। রোনাল্ডিনহোর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। দিয়েগো মারাদোনা আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল অনুশীলন।’’ রোনাল্ডিনহো এবং মারাদোনাও বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন অতীতে। তাঁদেরই ফ্রি কিকের শিক্ষক বলে মানেন মেসি।
চিন সফরে এসে প্রিয় বার্সেলোনা নিয়েও মুখ খুলেছেন লিয়ো। পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে সই করলেও পুরনো ক্লাবের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেননি মেসি। এখনও বার্সেলোনার কোনও ফুটবলার ফ্রিকিক থেকে গোল করলে সমর্থকদের একাংশ তাঁর নাম ধরে চিৎকার করেন। মেসি বলেছেন, ‘‘আমি বার্সার হয়ে না খেললেও অনেক সমর্থক আমার নাম ধরে চিৎকার করেন এখনও। কিছুটা বিস্ময়কর হলেও এটা একটা দুর্দান্ত অনুভূতি। অনেকগুলো বছর আমি বার্সেলোনায় কাটিয়েছি। আমার সন্তানেরাও বার্সায় ছিল। বার্সেলোনার সঙ্গে আমার একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে।’’
এ বার মেসিকে ফেরাতে মরিয়া ছিলেন বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রিয় ক্লাবে ফেরেননি মেসি। বেছে নিয়েছেন ডেভিড বেকহ্যামের ইন্টার মায়ামিকে। বার্সায় না ফেরার কারণ হিসাবে মেসি জানিয়েছেন, আরও এক বার চোখের জলে বার্সা ছাড়তে চান না। সৌদি আরবের ক্লাবের বিশাল টাকার প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন। জুন মাস পর্যন্ত প্যারিস সঁ জরমেঁর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের। জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে পরিবার নিয়ে আমেরিকায় চলে যাওয়ার কথা মেসির। ২১ জুলাই মায়ামির হয়ে অভিষেক হতে পারে তাঁর। আমেরিকার ক্লাব ফুটবল সমৃদ্ধ হবে মেসির ফুটবল জাদুতে।