ইন্টার মায়ামির হয়ে লিগস কাপ জয়ের পর মেসি। ছবি: টুইটার।
লিয়োনেল মেসির হাত ধরে প্রথম ট্রফি জিতল ইন্টার মায়ামি। লিগস কাপের ফাইনালে ন্যাশভিলকে হারালেন মেসিরা। ম্যাচের ফয়সালা হল সাডেন ডেথে। দু’পক্ষই মারল ১১টি করে শট।
স্বপ্ন সফল হল ডেভিড বেকহ্যামের। যে লক্ষ্য নিয়ে পিএসজি থেকে মেসিকে ফ্লোরিডায় এনেছিলেন, তা পূর্ণ হল শনিবার। তাঁর ক্লাব প্রথম বার কোনও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল। আর সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন অধিনায়ক মেসি।
ফাইনালের প্রথম থেকেই মেসির নেতৃত্বে আগ্রাসী ফুটবল খেলেন মায়ামির ফুটবলারেরা। প্রতিপক্ষ ন্যাশভিলের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণ। দু’দলই গোল করার একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা গিয়েছে। ২৩ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন সেই মেসি। বক্সের বাইরে ‘ডি’ থেকে নেওয়া মেসির বাঁ পায়ের শট পরাস্ত করে ন্যাশভিলের গোলরক্ষককে। প্রথমার্ধে কোনও দলই আর গোল করতে পারেনি। যদিও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারেননি মেসিরা। ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ন্যাশভিল। কর্নার থেকে মুক্তারের ভাসানো বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ন্যাশভিল স্ট্রাইকার ফাফা। এর পর জয় সূচক গোলের জন্য দু’পক্ষ আক্রমণের তীব্রতা বাড়ালেও লাভ হয়নি। ১-১ ফলে শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।
আমেরিকার লিগস কাপে অতিরিক্ত সময় নেই। নির্ধারিত সময়ের পর সরাসরি হয় টাইব্রেকার। সেই মতো খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টস জিতে মেসিই প্রথম শট নেন এবং গোল করেন। ন্যাশভিলের দ্বিতীয় শট (লিয়ালের) রুখে দিয়ে মায়ামিকে সুবিধা করে দেন গোলরক্ষক ক্যালেন্ডার। আবার মায়ামি পঞ্চম শটে গোল করতে পারেনি। ৪-৪ ফলে টাইব্রেকার শেষ হওয়ার পর সাডেন ডেথে যায় খেলা। ৯-৯ হওয়ার পর দলের হয়ে একাদশতম শট নেন ক্যালেন্ডার। গোল করার পর ন্যাশভিলের একাদশতম শটটিও আটকে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১০-৯ ব্যবধানে জেতেন মেসিরা।
টাইব্রেকারে দুরন্ত পারফরম্যান্সে জন্য ফাইনালের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ক্যালেন্ডার। আমেরিকা এসে প্রথম ট্রফি জিতলেন মেসি। ফুটবলজীবনের ৪৪তম ট্রফি জিতলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।