বিশ্বকাপে সোনার গ্লাভস জিতে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। সেই ভঙ্গির নকল করলেন কিলিয়ান এমবাপে। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হিসাবে সোনার গ্লাভস জিতে অশালীন ভঙ্গি দেখিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের নিশানায় ছিলেন ফরাসি ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপেও। এ বার মার্তিনেসকে নকল করলেন এমবাপে। তাঁকেও দেখা গেল সেই একই ভঙ্গিতে।
বিশ্বকাপে ভাল খেলায় ফ্রান্স ফুটবল সংস্থা পুরস্কার দিয়েছে এমবাপেকে। সেই পুরস্কার নেওয়ার পরে এমবাপেও মার্তিনেসের মতো একই ভঙ্গি করেন। সেটা দেখে সেখানে উপস্থিত অতিথিরা হাসতে শুরু করেন। যদিও কেন তিনি এ রকম করলেন তার কারণ জানাননি বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি গোল করা ফুটবলার।
বিশ্বকাপে সোনার গ্লাভস নিয়ে অঙ্গভঙ্গি করেই থেমে থাকেননি মার্তিনেস। দেশে ফিরে এমবাপের পুতুল নিয়ে উল্লাস করেছিলেন তিনি। আর্জেন্টিনায় ফিরে বিজয় উৎসবের সময় মার্তিনেসের হাতে ছিল একটি পুতুল। পুতুলের মুখে এমবাপের মুখের ছবি কেটে বসিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই আচরণ অত্যন্ত অপমানজনক মনে হয়েছিল ফ্রান্সের ফুটবল সংস্থার। প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতি ক্লদিয়ো তাপিয়াকে চিঠি দিয়েছিলেন ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েট।
ফ্রান্সের অভিযোগ পাওয়ার পরে মার্তিনেসকে নিয়ে তদন্ত করছে ফিফা। ফুটবলের বিশ্ব নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, ‘‘ফিফার নিয়মের ১১,১২ ও ৪৪ নম্বর ধারা ভেঙেছেন মার্তিনেস। তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু যদি দোষ প্রমাণিত হয় তা হলে মার্তিনেসের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
যদিও মার্তিনেসের আচরণকে ‘শিশুসুলভ’ বলে মন্তব্য করেছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিয়োনেল স্কালোনি। তিনি বলেছেন, ‘‘মার্তিনেসের আচরণে হয়তো অনেকেই খুশি হবেন না। ও কিন্তু দুর্দান্ত ছেলে। ও অনেকটা বাচ্চাদের মতো। ও কতটা ভাল ছেলে, সেটা জানলে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ওকে ভাল করে চেনা দরকার।’’ একটি সাক্ষাৎকারে মেসিদের হেডস্যর আরও বলেছেন, ‘‘মার্তিনেস এমন একটা আবিষ্কার, যেটা আমাদের প্রচুর আনন্দ দিয়েছে। ওর আলাদা ব্যক্তিত্ব রয়েছে। সেই ব্যক্তিত্বও আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। যদিও ওর দৃষ্টিভঙ্গি একদম বাচ্চাদের মতো।’’