বিতর্কিত কুশলের ইস্তফা ফাইল ছবি
শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় গত ২০ জুন সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন কুশল দাস। এ বার ইস্তফাই দিলেন তিনি। ফলে ভারতীয় ফুটবল সংস্থায় (এআইএফএফ) কুশলের এক যুগের সময়কাল শেষ হল। এই ১২ বছরে তিনি বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন, বার বার তা থেকে নিজেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছেন। তবে বিতর্ক থেকে কোনও দিনই তাঁকে আলাদা করা যায়নি।
২০১০-এ প্রথম বার এআইএফএফে এসেছিলেন তিনি। গত ২০ জুন ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণে ছুটিতে চলে যান। শোনা গিয়েছে, ভারতীয় ফুটবল এখন যারা চালাচ্ছে, সেই প্রশাসকদের কমিটিই তাঁকে কোনও কাজ করতে বারণ করেছিল। এআইএফএফে অডিট করে বিস্তর আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার পরেই প্রশাসকদের কমিটির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ফলে ভারতীয় ফুটবলে প্রফুল্ল পটেল-কুশল দাস জমানা শেষ হল।
মাস খানেক আগে কুশলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলাকর্মী। অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সংস্থার অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত করে কুশলকে ক্লিন চিট দেয়। প্রশাসকদের কমিটি দায়িত্ব আসার পর একের পর এক দুর্নীতি ধরা পড়তে থাকে। শোনা যায়, এশিয়ান কাপে ভারতীয় দলের ভাল ফলের আশায় এক জ্যোতিষ সংস্থাকে ১৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার কাজকর্মে আমদাবাদের এক ফুটবল অ্যাকাডেমির নাম বার বার উঠে এসেছে। ইন্ডিয়ান অ্যারোজের ফুটবলার আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এই সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।