এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতলেও কেরলের বিরুদ্ধে হার এড়াতে পারল না ওড়িশা এফসি। ছবি— পিটিআই।
কেরল ব্লাস্টার্স- ২: ওড়িশা এফসি- ১
এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রবিবারের ম্যাচের আগে একটাও জয় পায়নি কেরল ব্লাস্টার্স। সে কারণে চিন্তিত ছিলেন কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ। অবশেষে তিলক ময়দানে প্রথম ম্যাচ জিতে চিন্তামুক্ত হলেন কেরল ব্লাস্টার্স কোচ। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে তাঁর দল জিতল ২-১ ব্যবধানে।
এই জয়ের ফলে লিগ তালিকায় তিন ধাপ উপরে উঠে ছয় নম্বরে চলে এল আইএসএলে দু’বার ফাইনালে খেলা কেরল। চার ম্যাচে তাদের পয়েন্ট পাঁচ। অন্য দিকে, লিগে বেঙ্গালুরু এফসি ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জিতলেও কেরলের বিরুদ্ধে হার এড়াতে পারল না ওড়িশা এফসি।
ওড়িশার ৪-২-৩-১ ছকের বিরুদ্ধে এ দিন জয় পেতে মরিয়া কেরল খেলা শুরু করেছিল ৪-৪-২ ছকে। প্রথম ৪৫ মিনিট বিপক্ষ রক্ষণে বেশি দাপট ছিল কেরলের সাহাল আবদুল সামাদ, আদ্রিয়ান লুনাদেরই। সাত মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত কেরল। লুনার ফ্রি-কিক তৎপরতার সঙ্গে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান ওড়িশা গোলকিপার কমলজিৎ সিংহ। সেখানে প্রথমার্ধে ওড়িশার বলার মতো আক্রমণ জাভি হার্নান্দেসের ভলি। যা ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে চলে যায়। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে তীব্রতা বাড়ায় কেরল। ৬২ মিনিটে মাঝমাঠে বল ধরে ওড়িশা রক্ষণ ভেদ করে বল বাড়িয়েছিলেন কেরলের লুনা। যে বল লক্ষ্য করে গিয়ে ধরেন আলভারো ভাস্কুয়েস। ঠান্ডা মাথায় ওড়িশা গোলকিপারকে কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ৮৫ মিনিটে সেই লুনার থেকেই বল পেয়ে কেরলের হয়ে ব্যবধান বাড়ান প্রশান্ত কারুথাড়াথকুনি। এ ক্ষেত্রে মাঝমাঠ থেকে ডান দিকে প্রশান্তের উদ্দেশে বল বাড়িয়েছিলেন লুনা। যা ধরে ডান পায়ের জোরালো শটে ২-০ করেন প্রশান্ত। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে ব্যবধান কমান নিখিল রাজ।