আইএসএল-এর শেষ চারে চলে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিৎ একটাই, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু সবুজ-মেরুনের লক্ষ্য জামশেদপুর এফসি-কে লিগের শেষ ম্যাচে হারানো।
জয়ের ধারা বজায় রাখাই লক্ষ্য এটিকে মোহনবাগানের। ফাইল চিত্র
আইএসএল-এর শেষ চারে চলে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। এখন লক্ষ্য হওয়া উচিৎ একটাই, চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু তার আগে সবুজ-মেরুনের লক্ষ্য জামশেদপুর এফসি-কে লিগের শেষ ম্যাচে হারানো। কারণ, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার থেকেও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থেকে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটাই এটিকে মোহনবাগানের প্রথম লক্ষ্য।
রয় কৃষ্ণ, প্রীতম কোটালের কথাতে সেই লক্ষ্যটাই ফুটে উঠছে। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়িন এফসি-কে হারানোর পরে কৃষ্ণ বলেন, ‘‘চেন্নাইয়িন খুব ভাল দল। ওদের হারানো সহজ ছিল না। যাই হোক আমরা প্লে-অফে উঠে গিয়েছি। এ বার লক্ষ্য, পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা। তার জন্য সোমবার জামশেদপুরকে হারানো জরুরি। ওরা শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা লিগ শীর্ষে যেতে পারি। অবশ্যই সেই সুযোগ আমাদের সামনে রয়েছে। সমর্থকরা চেয়েছিলেন, আমরা প্লে-অফে যাই। সেটা হয়ে গিয়েছে। এখন লিগের শেষ ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি। তার পর প্লে-অফ রয়েছে।’’
প্রীতমের কথাতেও পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকার লক্ষ্য। বলেন, ‘‘জামশেদপুর ম্যাচটাই আমাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ। কারণ, এখন আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ছাড়পত্র অর্জন করা।’’
কৃষ্ণের গোলে এটিকে মোহনবাগান হারিয়েছে চেন্নাইয়িনকে। দীর্ঘ দিন পরে গোলে ফিরেছেন কৃষ্ণ। বলেন, ‘‘গোলের জন্য আমার উপর কোনও চাপ ছিল না। গোল করে ভাল লাগছে। শুধু আমার গোল পাওয়া নয়, পর পর দুটো ম্যাচে আমরা গোল খাইনি। এটা দুর্দান্ত রক্ষণ ছাড়া সম্ভব ছিল না। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। ফাইনাল ম্যাচে যা করতে হয়, জামশেদপুর ম্যাচেও আমাদের সেটাই করতে হবে।’’
জামশেদপুর নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন প্রীতমও। বলেন, ‘‘বল ধরে রেখে খেলা, পাস বাড়ানো, সব ক্ষেত্রেই আমাদের উন্নতি হয়েছে। গোটা দলের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। রক্ষণও আগের থেকে অনেক সংগঠিত হয়েছে। জামশেদপুর ম্যাচে আমরা অন্য পরিকল্পনা নিয়ে খেলব। কারণ, ওরা লম্বা লম্বা পাস বাড়িয়ে খেলে। বাঁ দিকটা খুব ভাল। পাল্টা আক্রমণে গোল তুলে নেয়। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’’
তাঁর অধিনায়কত্বে টানা পনেরোটি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে সবুজ-মেরুন। প্রীতমের ইচ্ছে আছে, জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে অধিনায়ক হিসেবে সবাইকে নিয়ে একটা শপথ নেওয়ার। কী শপথ, খোলসা করেননি প্রীতম।