kolkata derby

ডার্বি জিতিয়ে ৬০ হাজার দর্শককে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলেন এটিকে মোহনবাগানের বুমোস

কলকাতা ডার্বি নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করে সমর্থকদের মধ্যে। দুই দলের সমর্থকরাই ভিড় করেন এই ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করার জন্য। প্রথম বার এত সমর্থকের সামনে খেলতে নেমেছিলেন বলে জানালেন বুমোস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ২২:৫৭
Share:

প্রথম বার এত সমর্থকের সামনে খেলতে নেমেছিলেন বলে জানালেন বুমোস। —ফাইল চিত্র

আরও একটি ডার্বিতে জয় পেল এটিকে মোহনবাগান। টানা সাতটি ডার্বি জিতে নিল সবুজ-মেরুন। সপ্তম জয়ের অন্যতম কারিগর অবশ্যই হুগো বুমোস। ম্যাচের সেরাও হলেন তিনি। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে আবেদন জানালেন পরের ম্যাচগুলিতেও মাঠ ভর্তি করার।

Advertisement

কলকাতা ডার্বি নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা কাজ করে সমর্থকদের মধ্যে। দুই দলের সমর্থকরাই ভিড় করেন এই ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করার জন্য। প্রথম বার এত সমর্থকের সামনে খেলতে নেমেছিলেন বলে জানালেন বুমোস। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, “অসাধারন অভিজ্ঞতা। ৬০ হাজার মানুষের সামনে খেললাম। শুধু ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেই নয়, আইএসএলের বাকি ম্যাচগুলিতে ঘরের মাঠে এমন দর্শক দেখতে চাইব।”

শনিবার সাড়ে বাষট্টি হাজার দর্শক যুবভারতীতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনে ২-০ গোলে জিতল মোহনবাগান। বুমোস বলেন, “কোনও ম্যাচকেই হাল্কা ভাবে নিই না আমরা। এই ম্যাচকেও নিইনি। আগামী ম্যাচগুলিতেও নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ফুটবলে সেটা না দিলে জেতা সম্ভব নয়।”

Advertisement

বছর দেড়েক আগে মুম্বই সিটি থেকে বুমোসকে তুলে নিয়েছিল মোহনবাগান। তার পর থেকে তিনি সবুজ-মেরুন জার্সিতে ফুল ফুটিয়েই চলেছেন। প্রত্যেক ম্যাচে গোল না করতে পারলেও, গোলের পাস বাড়াচ্ছেন, বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ধোঁকা দিচ্ছেন। সর্ব ক্ষণ চাপে রাখছেন। এ দিন তাঁকে আটকাতেই নাজেহাল হয়ে গেলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে কোনও মতে আটকানো গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে বুমোস হয়ে উঠলেন অপ্রতিরোধ্য।

৫৬ মিনিটে গোল করেন বুমোস। দূর থেকে গোল লক্ষ্য করে নীচু শট নিয়েছিলেন তিনি। কমলজিৎ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা বাঁচালেও বল হাতে লেগে গোলে ঢুকে যায়। নির্বিষ একটা শটে গোল পেয়েই ফুঁসে ওঠে মোহনবাগান। কয়েক মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল। এ বার মনবীর সিংহ। বক্সের মধ্যে থেকে বুমোস শট নিতে গিয়েছিলেন। ইস্টবেঙ্গলের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে তা যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো মনবীরের কাছে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement