আমিরের গোলের পর লাল-হলুদের উচ্ছ্বাস। ছবি টুইটার
ফের রক্ষণের ভুল। ফের পয়েন্ট নষ্ট করল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আইএসএল-এর অষ্টম ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে আটকে গেল লাল-হলুদ। খেলার ফল ১-১। আমির দেরভিসেভিচের দুরন্ত গোল কাজে এল না। লিগ তালিকায় সবার শেষেই থাকল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চাপ আরও বাড়ল কোচ ম্যানুয়েল দিয়াসের উপরে।
প্রথমার্ধ থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে বেশ শক্তিশালী লাগছিল। বার্থোলোমেউ ওগবেচে-সহ হায়দরাবাদের রক্ষণকে প্রথম দিকে দাঁত ফোটাতেই দেয়নি তারা। বল ঘোরাফেরা করছিল হায়দরাবাদ ফুটবলারদের পায়েই। ১০ মিনিটের মাথায় সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ড্যানিয়েল চিমা। বক্সের বাইরে বল চেয়েছিলেন হামতের থেকে। হামতে যখন বল তাঁকে দিলেন, তখন বিপক্ষের ডিফেন্ডারের দিকে নজর রাখতে এতটাই ব্যস্ত ছিলেন চিমা যে বলটাই ধরতে পারলেন না ঠিক করে।
বাঁ দিকে বেশ সচল লাগছিল হামতেকে। ২০ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের এগিয়ে যাওয়ার কারণ তিনিই। বল ধরে গোলের দিকে এগনোর চেষ্টা করছিলেন। ফাউল করেন হায়দরাবাদ ডিফেন্ডার। ফ্রিকিক থেকে বাঁ পায়ের দুরন্ত শটে গোল করেন আমির দেরভিসেভিচ। এই মরসুমে যা লাল-হলুদের এখনও পর্যন্ত সেরা গোল।
এরপরেও চাপ বজায় রেখেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এর ফাঁকেই রক্ষণের ভুলে গোল খায় তারা। বাঁ দিক থেকে বল ভেসে এসেছিল। ওগবেচের সামনে দু’-তিনজন লাল-হলুদ ডিফেন্ডার থাকলেও তাঁরা পেরে উঠলেন না। কার্যত বিনা বাধায় অরিন্দমকে পরাস্ত করে সমতা ফেরান নাইজিরীয় স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছু আগে রফিকের একটি শট পোস্টে লাগে। দ্বিতীয়ার্ধে বলবন্ত সিংহ, হাওকিপকে নামিয়ে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে চেয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস। ৮২ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বলবন্ত। রফিক বক্সে বল ভাসিয়েছিলেন। বিপক্ষ গোলকিপার কাট্টিমনি বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ। বলবন্তের সামনে গোল করার সুযোগ থাকলেও তাঁর হেড বাইরে যায়।
বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি লাল-হলুদ।