ফের আটকে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ছবি টুইটার
আইএসএল-এ একের পর এক ম্যাচ যায়। কিন্তু এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্যের কোনও বদল হয় না। রবিবারও ব্যতিক্রম হল না। কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে আটকে গেল লাল-হলুদ। ছ’টি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। লিগের পয়েন্ট তালিকায় রয়েছে সবার শেষে।
এই ম্যাচেও প্রথম একাদশে একাধিক বদল এনেছিলেন লাল-হলুদ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াস। গোলের নিচে প্রথম বার দাঁড়ালেন বঙ্গসন্তান শঙ্কর রায়। মাঝমাঠে আনেন সৌরভ দাস এবং হামতেকে। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স ভঙ্গুর, তা প্রকট হয়ে গিয়েছিল ১৪ মিনিটেই।
বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়েছিলেন লালথাথাঙ্গা। সেই শট ইস্টবেঙ্গলের অমরজিৎ সিংহের হাতে লেগে আলভারো ভাজকুয়েজের কাছে যায়। চলতি বলেই শঙ্করকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান ভাজকুয়েজ। এরপরেই ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এমনকী ডাগআউট থেকে উঠে এসেছিলেন দিয়াসও। চাপে পড়ে লাইন্সম্যানের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত বদল করেন রেফারি। ফ্রিকিক দেন কেরলকে।
এরপর আক্রমণ বজায় রেখেই এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। বাঁ দিক থেকে লম্বা থ্রো নিয়েছিলেন রাজু। তা বক্সে পড়ে। প্রায় ২-৩ জন ডিফেন্ডারকে টপকে হেড করে বল জালে জড়ান টমিস্লাভ মার্সেলা।
এরপরেই গোল শোধ করে দেয় কেরল। পুরোপুরি লাল-হলুদের রক্ষণ এর জন্য দায়ী। বক্সের ভিতরে বল ক্লিয়ারই করতে পারেননি রাজু। তা গিয়ে জমা পড়ে কেরলের এক ফুটবলারের পায়ে। সেখান থেকে বল যায় আদ্রিয়ান লুনার কাছে। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে দু’দলই মরিয়া হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছিল। কিন্তু সঠিক ফিনিশারের অভাবে ভুগেছে দু’দলই। ফলে কোনও গোল হয়নি।
৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সবার শেষে লাল-হলুদ। কেরল রয়েছে সাতে। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।