আবার হারল এসসি ইস্টবেঙ্গল ছবি টুইটার
চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ড্র করলেও ওড়িশার বিরুদ্ধে পারল না তারা। প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েও রক্ষণের ভুলে এই ম্যাচে হারতে হল তাদের। মারিয়ো রিভেরার দল হেরে গেল ১-২ ব্যবধানে। গোল করে এবং করিয়ে অসাধারণ খেললেন এটিকে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার জাভি।
প্রথমার্ধে শুরুর দিকে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কোনওটাই কাজে লাগাতে পারেনি তারা। উল্টে রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এগিয়ে গেল ওড়িশা এফসি। এই গোলের ক্ষেত্রে পুরোপুরি দায়ী রক্ষণ ভাগই। ডান দিক থেকে কাটিয়ে নিয়ে বক্সে উঠে এলেন জাভি। গোল লাইনের কাছাকাছি এসে ডান দিকে পাস দিলেন জোনাথাসকে। বল দুই লাল-হলুদ ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে গেলেও কেউ আটকাতে পারলেন না। ফাঁকা গোলে অনায়াসে বল ঠেলে দিলেন জোনাথাস।
এরপরেই ম্যাচে ক্রমশ এসসি ইস্টবেঙ্গলের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে ওড়িশা। মাঝে মাঝে পাল্টা আক্রমণে উঠে আসছিল ইস্টবেঙ্গলও। ডান দিক থেকে আন্তোনিয়ো পেরোসেভিচ আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সঠিক ফিনিশারের অভাবে গোল হচ্ছিল না। মার্সেলোকে শুরু থেকে নামানো হলেও তিনি মোটেই সক্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি।
বিরতির পরেও প্রথম থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই সময়ে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণে গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মাঝ মাঠে ক্রাসনিকের মিস পাস ধরে ফেলেছিলেন পর্চে। তিনি ওড়িশা ডিফেন্ডারদের মাথার উপর দিয়ে বল বাড়ান পেরোসেভিচকে। দু’টি টাচের পরেই নীচু শটে বল জালে জড়ান পেরোসেভিচ।
মনে হচ্ছিল চেন্নাইয়িন ম্যাচের মতোই এই ম্যাচেও প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে জিততে পারে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু পরক্ষণেই গোল খেয়ে গেল তারা। এ বার কাণ্ডারি জোনাথাস। ইস্টবেঙ্গলের একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন জাভিকে। জাভির শট পর্চের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। পর্চের পায়ে না লাগলে তা গোলকিপার শঙ্কর রায়ের হাতে আসত।
ব্যবধান বাড়ল না হীরা মণ্ডলের জন্যে। ৮২ মিনিটে দুর্দান্ত গোললাইন সেভ করলেন হীরা। শঙ্করকে পরাস্ত করে গোলে শট মেরেছিলেন জাভি। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে শেষ মুহূর্তে বল বাইরে বের করে দেন হীরা। এটিকে মোহনবাগান ম্যাচেও এ ভাবেই গোল লাইন সেভ করেছিলেন তিনি।