ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেয়ে হতাশ জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল ছবি
তিরে এসে কি তরী ডুববে? গোটা প্রতিযোগিতায় ভাল খেলার পর আইএসএল-এর শেষ পর্যায়ে এসে আশঙ্কা এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। পর পর দু’ম্যাচে চার পয়েন্ট নষ্ট হওয়ায় তৈরি হয়েছে আশঙ্কা। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ফুটবলারদের চোট-আঘাত, ক্লান্তি। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে হতাশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। বিশ্বাস করেন, ওড়িশার বিরুদ্ধে তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল।
এই পর্যায়ে এসে পয়েন্ট নষ্ট মানে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাওয়া। মোহনবাগান কোচ এখনই আশা ছাড়তে নারাজ। ফেরান্দো শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চান পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকার লক্ষ্যে। ওড়িশা ম্যাচের পর ফেরান্দো বলেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা রাখতে হবে আমাদের। শেষে কী হবে তা শেষেই দেখা যাবে। আমাদের শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যেতে হবে।’’
ফুটবলারদের চোট-আঘাত ভাবাচ্ছে তাঁকে। বলেছেন, ‘‘যাদের চোট রয়েছে, তাদের পরিবর্ত নামানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ফুটবলাররা খেলার মতো অবস্থায় থাকলে তাদের পারফরম্যান্স দেখে দলে বদল বা পরিকল্পনা করা যায়। কিন্তু চোটের জন্য রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে তিন জনকে নামাতে হলে কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অজুহাত দিতে চাই না। এই সমস্যা সব দলেরই রয়েছে। এক এক জন করে বিচ্ছিনবাসে চলে যাচ্ছে। ফিরে এসে তিন দিনে দুটো ম্যাচ খেলা কঠিন। এ রকম হতেই পারে।’’
ওড়িশার বিরুদ্ধে রয় কৃষ্ণ লাল কার্ড দেখায় ক্ষতি হয়েছে অস্বীকার করছেন না। কিন্তু এখন এ সব নিয়ে ভাবতে চাইছেন না ফেরান্দো। ফুটবলারদের যত দ্রুত সম্ভব চোট মুক্ত করে বিকল্প বাড়াতে চাইছেন মোহনবাগান কোচ। শেষ তিন ম্যাচে যত বেশি সম্ভব পয়েন্টই আপাতত লক্ষ্য তাঁর।
১৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির। হায়দরাবাদ এফসি এবং জামশেদপুর এফসি যথাক্রমে রয়েছে পয়েন্ট তালিকার প্রথম দুই স্থানে। চতুর্থ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা মুম্বই সিটি এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্স ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। আরও পয়েন্ট হারালে প্রথম চারে জায়গা ধরে রাখাও কঠিন হতে পারে। অজানা নয় এটিকে মোহনবাগান কোচের।