উন্মাদনা: বৃষ্টির মধ্যেই মাঠে প্রবেশ করছেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারেরা। সঙ্গী সমর্থক। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
ইস্টবেঙ্গলের এ বারের দল যে গত দুই মরসুমের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে, ডুরান্ড কাপের দু’টি ম্যাচেই স্পষ্ট। ভারতীয় নৌ সেনা ও রাজস্থান ইউনাইটেড এফসি-র সঙ্গে ড্র করেছে একটিও গোল না খেয়ে। স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের কোচিংয়ে মাত্র দু’সপ্তাহ অনুশীলন করা দলের পক্ষে যা খুবই ইতিবাচক। বোঝা যাচ্ছে ব্রিটিশ কোচ সবচেয়ে আগে রক্ষণ শক্তিশালী করার উপরেইজোর দিয়েছেন।
ডুরান্ড কাপের দু’টি ম্যাচ দেখে আমার উপলব্ধি, ইস্টবেঙ্গলের মূল সমস্যা আক্রমণ ভাগে। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্লেটন সিলভার মতো অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারকে খেলাননি স্টিভন। আশা করছি আজ, রবিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে ওকে খেলাবে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ। আমার মতে, এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মোহনবাগান গোল করতে না দেওয়া।
সবুজ-মেরুন কোচ জুয়ান ফেরান্দোর তুরুপের তাস লিস্টন কোলাসো। ওকে বল নিয়ে দৌড়তে দেওয়া চলবে না। লিস্টন আটকে গেলে মোহনবাগানের ছন্দ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাবে বলে আমার ধারণা। কিয়ান নাসিরিদের কাছে এই ম্যাচটা মরণ-বাঁচন লড়াই। একটা হার ও একটা ড্রয়ের ফলে ওরা খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। ডুরান্ড কাপের শেষ আটে উঠতে হলে মোহনবাগানকে জিততেই হবে। তাই ওদের লক্ষ্য থাকবে দ্রুত গোল করে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেওয়া।
এই পরিস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গলকে অনেক অঙ্ক করে খেলতে হবে। লিস্টনের দৌড় বন্ধ করার পাশাপাশি, মাঝমাঠে জনি কাউকো ও হুগো বুমোসকে স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেওয়া চলবে না। স্টিভন যদি তাঁর এই পরিকল্পনায় সফল হয়, তা হলেই ছন্দ নষ্ট হয়ে যাবে মোহনবাগানের। ভুল করতে শুরু করবে লিস্টনরা। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে আক্রমণে শানাতে হবে অনিকেত যাদবদের। তবে একেবারেই তাড়াহুড়ো করা চলবে না। প্রতিআক্রমণে গোল করে জেতার চেষ্টা করতে হবে। প্রথমার্ধে বিপক্ষকে দেখে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাঁড়ানো উচিত।
মোহনবাগানের আক্রমণভাগ দুর্দান্ত হলেও রক্ষণ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এলিয়ান্দ্রো দস স্যান্টোস, সুমিত পাসিদের এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে হবে। ওদের মাথায় রাখতে হবে, ডার্বিতে এমনিতেই গোল করার পরিস্থিতি কম তৈরি হয়, তাই ন্যূনতম সুযোগও হাতছাড়া করা চলবে না।