তৃপ্ত: গোল করে সতীর্থের সঙ্গে আনোয়ার (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন পর্ব শুরু হওয়ার আগে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ ছিলেন নীরব। মঙ্গলবার রাতে হংকংকে ৪-০ চূর্ণ করে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরণ ঘটালেন ইগর। বললেন, ‘‘আমার চুক্তি শেষ হওয়ার পথে। আমাকে যদি রাখতে হয়, তা কিছু শর্তও মানতে হবে। আমার দেখার দরকার নেই কারা ফুটবল পরিচালনা করছে। আমি যখন চাইব, জাতীয় শিবিরের জন্য লিগের খেলা বন্ধ করতে হবে। যাদের আমি নির্বাচিত করব, তাদের ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলার সুযোগ দিতে হবে।’’
ইগর আরও বলেছেন, ‘‘নিজেকে প্রমাণ করেছি। এখানে এসেছিলাম অনেক ঝুঁকি নিয়ে। একটা দলকে নতুন করে গড়ে তোলার চেয়ে অনেক সহজ আর্সেনাল, চেলসির মতো ক্লাবে কোচিং করানো। সেখানে নতুন করে কিছু গড়ে তোলার ব্যাপার থাকে না।’’ যোগ করেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবল এখনও প্রায় দশ বছর পিছিয়ে রয়েছে। আমার অনেক পরিকল্পনা রয়েছে।’’
তবে ইগর প্রশংসা করেন সুনীল ছেত্রী, আনোয়ার আলি-সহ সব ফুটবলারদের। উচ্ছ্বসিত সুনীল বলেন, ‘‘আগের বার দর্শকদের আনন্দ দিতে পারিনি। এ বার ওঁদের ভালবাসার কিছুটা প্রতিদান দিয়েছি।’’ ফেরেঙ্ক পুসকাসের নজির স্পর্শ করা নিয়ে সুনীল বলেন, ‘‘আমার জীবনে রেকর্ডের খুব গুরুত্ব নেই। যত দিন পারব নিজের সেরাটা দেব দেশকে।’’
ভারতীয় দলকে অভিনন্দন জানিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় গণমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতীয় ফুটবল দলের যোগ্যতা অর্জন দারুণ কাজ। এই লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য ফুটবলের মক্কা কলকাতার থেকে ভালো জায়গা আর হয় না। পুরো প্রতিযোগিতাতেই দর্শকদের সমর্থন ছিল অসাধারণ।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।