গত দু’বছর করোনার কারণে জৈবদুর্গের মধ্যে আই লিগ হয়েছিল। —ফাইল চিত্র
এ বারের আই লিগ শুরু ১৩ নভেম্বর। কেরলে হবে প্রথম ম্যাচ। সেই ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরল এফসির মুখোমুখি হবে বাংলার মহমেডান স্পোর্টিং। যারা গত বার রানার্স হয়েছিল।
গত দু’বছর করোনার কারণে জৈবদুর্গের মধ্যে আই লিগ হয়েছিল। সব ম্যাচ খেলা হয়েছিল বাংলায়। কলকাতা, কল্যাণী এবং নৈহাটিতে ম্যাচগুলি হয়েছিল। এ বার জৈবদুর্গ থাকছে না। দেশের ১২টি ক্লাব মোট ১৩টি মাঠে খেলবে। মহমেডান তাদের ঘরের ম্যাচগুলি খেলবে কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে। গোকুলাম তাদের ঘরের মাঠে এগারোটি ম্যাচের মধ্যে ৬টি খেলবে মালাপ্পুরামে এবং বাকি ৫টি খেলবে কোজিকোড়ে। শ্রীনগরে রিয়াল কাশ্মীর খেলবে বক্সী স্টেডিয়ামে। ফেব্রুয়ারি থেকে সেটাই ওই দলের ঘরের মাঠ। আই লিগে প্রথম বার খেলা হবে হায়দরাবাদের ডেকান এরিনাতে এবং দিল্লির ছত্রসাল স্টেডিয়াম। হায়দরাবাদের সেই মাঠে খেলবে শ্রীনিডি ডেকান এফসি এবং দিল্লির মাঠে খেলবে সুদেবা দিল্লি এফসি।
চার্চিল ব্রাদার্স খেলবে বাম্বোলিম স্টেডিয়ামে, আইজল এফসি খেলবে তাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে। ইম্ফলের নেরোকা এফসি এবং ট্রাউ এফসি ঘরের ম্যাচ খেলবে খুমান লাম্পাক স্টেডিয়ামে। মুম্বইয়ের কুপারেজ স্টেডিয়ামে খেলবে কেকঁড়ে এফসি। রাজস্থান ইউনাইটেড এফসি খেলবে অম্বেডকর স্টেডিয়ামে।
এ বারের আই লিগের দলগুলি স্কোয়াডে মোট সাত জন বিদেশি রাখতে পারবে। কিন্তু প্রথম একাদশে খেলতে পারবে মাত্র চার জন। এঁদের মধ্যে এক জন অবশ্যই এশীয় কোটার বিদেশি হতে হবে। এমনটাই জানিয়েছে আই লিগ কমিটি।
ম্যাচের দিন দলে পাঁচ জন বিদেশি এবং এক জন এশীয় কোটার ফুটবলার রাখা যাবে। প্রথম একাদশে যদিও সকলকে নামানো যাবে না। প্রয়োজন বিদেশির বদলে বিদেশি নামানো যাবে। ভারতের কোচ ইগর স্তিমাচ বিদেশির সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন না। তিনি চান ভারতীয় ফুটবলাররা বেশি করে খেলার সুযোগ পাক। লিগ কমিটির বৈঠকের পর সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, “ম্যাচের দিন দলে বেশি বিদেশি রাখা যাবে। মোট ছ’জন বিদেশি রাখা যাবে দলে। এর মধ্যে এক জন এশীয় কোটার বিদেশি। মাঠে নামতে পারবেন চার জন। তাঁদের মধ্যে এক জন অবশ্যই এশীয় কোটার বিদেশি অথবা ভারতীয় ফুটবলার।”