ATK Mohun Bagan

দর্শকের উৎসাহে আপ্লুত মেহতাব, অ্যালভিটোরা

টাইব্রেকারেও খেলার ফল অসমাপ্ত থাকে। পরে আরও একটি করে গোল দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় দুই দলকে। জয়ী হয় ইস্টবেঙ্গল। এ দিনের খেলার হার-জিতকে ছাপিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে মাঠ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৫৯
Share:

সাডেন ডেথ-এ গোল বাঁচিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে জেতালেন অ্যালভিটো। নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার দিনভর মেঘলা আকাশ। কখনও আবার টিপটিপ করে বৃষ্টিও পড়ছে। তবুও ‘হাউজ়ফুল’ মালদহ জেলার ক্রীড়া সংস্থার মাঠ। ‘সৌজন্যে’ ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের প্রাক্তনীদের প্রীতি ‘ডার্বি’ ম্যাচ। জেলায় দর্শক ভর্তি মাঠ দেখে আপ্লুত ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের খেলোয়াড় মেহতাব হোসেন, রহিম নবি থেকে আলভিটোরা। তাঁদের খেলা মাঠে গিয়ে দেখতে পেয়ে খুশি মালদহের সত্তরোর্ধ্ব বাসিন্দা অদিতিকুমার রায়, কাফিউদ্দিন আহমেদ, রুকসেনা বিবিরা।

Advertisement

এ দিন বিকেল ৩টে থেকে খেলা শুরুর কথা থাকলেও, মাঠে ঘণ্টা খানেক আগে থেকে আসতে শুরু করেন দুই দলের সমর্থকেরা। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের খেলোয়াড় ষষ্ঠী দুলে, দীপঙ্কর দে, অ্যালভিটো ডি’কুনহা, রহিম নবি, সূর্যবিকাশ দে, মেহতাব হোসেনদের মাঠে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিকেল ৪টে থেকে খেলা শুরু হয়। ২৫ মিনিট করে দুই ধাপে খেলা হয়। প্রথমার্ধে কোনও গোলই করতে পারেননি দুই দলের খেলোয়াড়রা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম গোল করেন মেহতাব হোসেন। তাঁর গোলের মাত্র এক মিনিটের মধ্যে মোহনবাগানের হয়ে গোল করে সমতা ফেরান মালদহের গাজলের যুবক বিশ্বনাথ কিস্কু। তিনি গাজলের হাজু নাকু মহম্মদ হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ক্লাবের হয়ে খেললেও এ দিন মোহনবাগানের জার্সি পরে মাঠে নামতে পেরে খুশি বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, “জেলায় খেলেছি। জলপাইগুড়ি থেকে লিগও খেলেছি। তবে মোহনবাগানের মতো ক্লাবের জার্সি পরে মাঠে নামতে পারা গর্বের বিষয়। যাঁদের খেলা দেখে শিখেছি, তাঁদের সঙ্গে খেলতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।”

টাইব্রেকারেও খেলার ফল অসমাপ্ত থাকে। পরে আরও একটি করে গোল দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় দুই দলকে। জয়ী হয় ইস্টবেঙ্গল। এ দিনের খেলার হার-জিতকে ছাপিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছে মাঠ। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা অদিতি রায় বলেন, “কলকাতায় গিয়ে কখনও ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের খেলা দেখা হয়নি। প্রীতি ম্যাচ হলেও দুই দলের খেলা দেখতে পেয়ে ভাল লাগছে।” কাফিউদ্দিন বলেন, “এক সময় আমিও ফুটবল খেলতাম। স্বপ্ন থাকলেও, মাঠে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল, মোহন বাগানের খেলা দেখা হয়নি। এ দিন স্বপ্ন পূরণ হল।” মেহতাব হোসেন বলেন, “মালদহে খেলার পরিবেশ রয়েছে। দর্শকদের উন্মাদনা দেখে ভাল লাগছে।” রহিম নবি বলেন, “উপস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, মালদহের মানুষ খেলা ফুটবল কতটা পছন্দ করেন। আরও খেলা হওয়া উচিত।”

Advertisement

মাঠে খেলা দেখতে হাজির ছিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া, অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী, পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও। উদ্যোক্তা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “আগামী দিনেও এমন খেলা আয়োজন করার চেষ্টা করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement