১৯৫৮ বিশ্বকাপে ছ’টি ম্যাচে ১৩টি গোল করেছিলেন ফঁতে। এক বিশ্বকাপে এতগুলি গোল আর কারওর নেই। ফাইল ছবি
ফুটবল বিশ্বকাপে ৬৫ বছর আগে যে নজির গড়েছিলেন তিনি, তা এখনও অক্ষত। মাঝের সময়টায় অনেক নামীদামি ফুটবলার এলেও কেউ তাঁকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। ফ্রান্সের প্রাক্তন ফুটবলার জাঁ ফঁতে বুধবার প্রয়াত হলেন। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর প্রাক্তন ক্লাব রেমস বুধবার এ কথা ঘোষণা করেছে।
১৯৫৮ বিশ্বকাপে ছ’টি ম্যাচে ১৩টি গোল করেছিলেন ফঁতে। এক বিশ্বকাপে এতগুলি গোল আর কারওর নেই। মাত্র ছ’টি ম্যাচ খেলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে তাঁকে ফ্রান্সের দলে নেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতার শেষে তিনিই নায়ক হয়ে যান। মরক্কো-জাত এই ফুটবলারকে বিশ্বকাপের আগে কেউই চিনতেন না। কিন্তু গতি এবং দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ের সাহায্যে প্রথম থেকেই নজর কেড়ে নেন তিনি। যে বুট নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছিলেন, সেটি অনুশীলনের সময় ছিঁড়ে যায়। ফলে এক সতীর্থের থেকে ধার করা বুট পরেই বিশ্বরেকর্ড করেন তিনি।
এখন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে সোনার বুট দেওয়া হয়। তবে ফঁতে যে বার ১৩ গোল করেছিলেন, তখনও এই পুরস্কার দেওয়া চালু হয়নি। ২০০৬ সালে এক বার ফঁতে বলেছিলেন, “আমার রেকর্ড ভাঙা মনে হয় কারওর পক্ষে সম্ভব হবে না। তা হলে প্রতি ম্যাচে দুটি করে গোল করতে হবে।” ১৯৫৮ বিশ্বকাপে কোনও পরিবর্ত ফুটবলার নামানোর নিয়ম ছিল না। সে বার ফ্রান্স সেমিফাইনালে ২-৫ হেরে যায় ব্রাজিলের কাছে। সেই ব্রাজিলই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম বিশ্বকাপ পায়। সেই দলে ছিলেন ১৭ বছরের এক প্রতিভাবান ফুটবলার, পরবর্তী কালে বিশ্ব যাঁকে চিনেছিল পেলে নামে।
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে একটি গোল ছিল ফঁতের। পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে তিনি চারটি গোল করেছিলেন। এর আগের রেকর্ড ছিল হাঙ্গেরির স্যান্ডর ককশিসের। তিনি এক বিশ্বকাপে ১১টি গোল করেছিলেন। ফঁতের নজিরের পর একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল হয়েছে ৯টি। ২০০২ সালে রোনাল্ডো এবং ২০২২ সালে কিলিয়ান এমবাপে এই সংখ্যক গোল করেছিলেন।