মেসি, রোনাল্ডোর খেলে যাওয়া কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামেই সন্তোষের নকআউটের ম্যাচ। ফাইল ছবি
মাত্র এক মাস আগেই যে স্টেডিয়ামে খেলে গিয়েছেন লিয়োনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কিলিয়ান এমবাপের মতো ফুটবলাররা, সেই মাঠেই এ বার ভারতের তরুণ একঝাঁক অচেনা ফুটবলারদের খেলতে দেখা যাবে। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার উদ্যোগে এ বারের সন্তোষ ট্রফির নকআউট পর্বের খেলা হতে চলেছে সৌদি আরবের রিয়াধে। সবক’টি খেলাই হবে কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে, যেখানে খেলেছেন মেসি-রোনাল্ডোরা। চার রাজ্যের অচেনা ফুটবলারদের কাছে যা এক অসাধারণ অনুভূতি।
সেমিফাইনালে উঠেছে সার্ভিসেস, পঞ্জাব, মেঘালয় এবং কর্ণাটক। প্রথম সেমিফাইনালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মেঘালয় এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে কর্নাটক খেলবে। সৌদি আরবের ফুটবলের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যেই মন ভরিয়ে দিয়েছে অখ্যাত ফুটবলারদের। অনেকের কাছে এটাই প্রথম ভারতের বাইরে গিয়ে ফুটবল খেলা।
চেন্নাই সিটি এফসি-র আই লিগ জয়ী দলে ছিলে কার্তিক গোবিন্দস্বামী। ভেবেছিলেন আইএসএলে খেলে নামী ফুটবলার হবেন। কিন্তু এখন বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে দ্বিতীয় ডিভিশনের আই লিগ খেলেন। কর্নাটকের হয়ে খেলা কার্তিক সন্তোষ ট্রফিতে নিজের ছাপ রাখতে চান। বলেছেন, “আই লিগ এবং আইএসএলে খেলার একটা দরজা খুলে দিচ্ছে সন্তোষ ট্রফি।”
ক্লাব ফুটবলের দৌলতে এক সময় বিখ্যাত সন্তোষ ট্রফির জৌলুস হারিয়ে যেতে বসেছে। কোনও দলই চায় না তাদের বিরাট দাম দিয়ে কেনা খেলোয়াড় রাজ্যের হয়ে নামুক এবং চোট নিয়ে ফিরুক। তাই বেশির ভাগ ক্লাবই প্রধান ফুটবলারদের ছাড়তে চায় না। ফলে এই প্রতিযোগিতার দল গড়া হয় ছোটখাটো ফুটবলার এবং বেশি বয়সিদের নিয়ে। এই জৌলুস বাড়াতেই এ বার সৌদিতে সন্তোষ ট্রফি আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।