বিতর্কের কেন্দ্রে নেমার। —ফাইল ছবি
সাফল্যের আলোয় ঢাকা পড়ে যায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি, মতবিরোধ। ব্যর্থতা প্রকাশ্যে নিয়ে আসে সে সব। তেমনই ঘটছে প্যারিস সঁ জঁ-র সাজঘরে? উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজয়ের জেরে কি অশান্তির কালো মেঘ মেসি, নেমার, এমবাপেদের অন্দর মহলে?
ম্যাচের পরেই নাকি নেমার ঝামেলায় জড়ান দলের ইতালীয় গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডোন্নারুম্মার সঙ্গে। রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমার দুরন্ত হ্যাটট্রিকের জন্য নাকি গোলরক্ষককেই দুষেছেন ব্রাজিলীয় ফুটবলার। খেলার পর সাজঘরে ফিরেই তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন নেমার এবং ডোন্নারুম্মা।
ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, সাজঘরে ফিরেই নেমার চেঁচামেচি শুরু করেন। তিনি বলেন, রিয়ালের প্রথম গোলের সময় গোলরক্ষকের পোস্ট ছেড়ে গিয়ে ড্রিবল করা উচিত হয়নি। ডোন্নারুম্মার ভুলের জন্যই স্প্যানিস ক্লাবটি সমতা ফেরাতে পেরেছে। এবং দলকে চড়া মাশুল দিতে হয়েছে।
পাল্টা রিয়ালের দ্বিতীয় গোলের জন্য নেমারের ভুলকে দায়ী করেন ডোন্নারুম্মা। তিনি বলেন, নেমার বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারার জন্যই সহজ বল পেয়ে যান লুকা মদ্রিচ। দু’জনের বাদানুবাদ এতটাই চরম পর্যায় পৌঁছয় যে মেসি, এমবাপে সহ দলের অন্য সদস্যরা তাঁদের থামাতে রীতিমতো হিমশিম খান।
অশান্তির খবর অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন নেমার। তাঁর দাবি এ সবহ ভিত্তিহীন রটনা। তাঁর সঙ্গে ডোন্নারুম্মার সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। খেলার পরে ডোন্নারুম্মার সঙ্গে ব্যক্তিগত হোয়াটস অ্যাপ টেক্সটও প্রকাশ্যে এনেছেন নিজের দাবির সমর্থনে। যেখানে ডোন্নারুম্মাকে নেমার লিখেছেন, ‘‘বন্ধু চিন্তা কোরো না। ফুটবলে এ রকম হয়। আমরা একটা দল। সবাই তোমার পাশে রয়েছি। তুমি অনেক খেতাব জিতবে। নিজেকে আগামীর জন্য প্রস্তুত কর।’’
উল্লেখ্য, দল হারার পর ক্ষিপ্ত প্যারিস সঁ জঁ সভাপতি নাসের আল খেলাইফিও স্টেডিয়ামে রেফারিদের ঘরে চড়াও হন। সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় প্রতিবাদ জানান আগ্রাসী ভাবে। তাঁর বিরুদ্ধে রেফারিদের ঘরে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে।