হলুদ কার্ড দেখানোয় মাতেউর (ডান দিকে) সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মেসি (বাঁ দিকে)। সেই রেফারি আবার বিতর্কে জড়ালেন। —ফাইল চিত্র
বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও বিতর্ক কমেনি মাতেউ লাহোজ়কে নিয়ে। আরও এক বার তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ইউরোপা কনফারেন্স লিগে তুরস্কের ক্লাব ট্রাবজ়োনস্পোরের বিরুদ্ধে খেলা ছিল সুইৎজ়ারল্যান্ডের এফসি বাসেলের। সেই ম্যাচে মাতেউর সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে রাগে তাঁর মুখে ঘুসি মেরেছেন এক সমর্থক। তবে সেটা ল্যাপটপের পর্দায়।
বাসেলের বিরুদ্ধে ০-২ (দুই পর্ব মিলিয়ে ১-২) হেরে ইউরোপা কনফারেন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছে ট্রাবজ়োনস্পোর। টান টান ম্যাচের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন মাতেউ। তুরস্কের ক্লাবের দু’টি গোল বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে একটি হয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। ট্রাবজ়োনস্পোরের একটি জোরালো পেনাল্টির আবেদনও পাত্তা দেন নি তিনি। এমনকি বাসেলের এক ফুটবলার কড়া ট্যাকল করার পরে তুরস্কের ক্লাবের ফুটবলারদের লাল কার্ডের আবেদনেও সাড়া দেননি মাতেউ।
রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি তুরস্কের এক যুবক। নিজের ঘরে বসে ল্যাপটপে খেলা দেখছিলেন তিনি। হঠাৎ মাতেউর মুখে ঘুসি মারতে থাকেন তিনি। ল্যাপটপের পর্দায় একের পর এক ঘুসি মারেন সেই যুবক। আশ্চর্যজনক ভাবে ল্যাপটপের কোনও ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনার ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ১৫টি কার্ড দেখিয়েছিলেন মাতেউ। তার মধ্যে একটি লাল কার্ড ছিল। হলুদ কার্ড দেখেছিলেন লিয়োনেল মেসি। মাঠেই রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। পরে স্প্যানিশ লা লিগার একটি ম্যাচেও ১৫টি কার্ড দেখিয়েছিল মাতেউ। তাঁর রেফারিংয়ে অসন্তুষ্ট ফিফা। এই মরসুমের পরেই হয়তো অবসর নেবেন তিনি। তবে তার আগে বার বার বিতর্কে জড়াচ্ছেন মাতেউ।