অনুশীলনে ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গলের কয়েক জন ফুটবলার। ছবি: এক্স।
প্রথমে ঠিক ছিল ডুরান্ড কাপের নক আউট, অর্থাৎ, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনালের সব ম্যাচ কলকাতায় হবে। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শহর জুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মাঝে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল কলকাতা থেকে। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কলকাতার এক প্রধান বাদ যেতেই ডুরান্ডের একটি সেমিফাইনালও যুবভারতী থেকে সরে গিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল সেমিফাইনালে উঠলে হয়তো প্রথম সেমিফাইনালও কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনেই হত। কিন্তু তা হচ্ছে না। এখন সেই সেমিফাইনালে মুখোমুখি নর্থইস্ট ইউনাইটেড ও শিলং লাজং। দু’টিই পাহাড়ের ক্লাব। সেই কারণে, পাহাড়েই ম্যাচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিলংয়ের মাঠে হবে সেই খেলা।
ডুরান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, কোয়ার্টার ফাইনালের দু’টি ম্যাচের ফলের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের দু’টি দল যে হেতু সেমিফাইনালে মুখোমুখি তাই তাদের সমর্থকেরা আবেদন করেছিলেন, খেলা যাতে সেখানে হয়। কলকাতায় খেলা হলে অনেক কম সমর্থক যেতে পারতেন। কিন্তু শিলংয়ে খেলা হলে দু’দলের সমর্থকেরা মাঠ ভরাবেন। সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে মাঠ বদলে দেওয়া হয়েছে। খেলার দিনও বদলেছে। আগে ২৫ অগস্ট খেলা হওয়ার কথা ছিল। সেটি হবে ২৬ অগস্ট।
পাহাড়ের সমর্থকদের আবেগের কথা ভেবে খেলা কলকাতা থেকে সরানোয় সম্মতি জানানোর জন্য এই রাজ্যের ক্রীড়া দফতরকে ধন্যবাদ দিয়েছেন ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে বাকি ম্যাচের সূচি একই থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
অর্থাৎ, ২৭ অগস্ট ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ও ৩১ অগস্ট ফাইনাল কলকাতাতেই হবে। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে খেলতে নামবে মোহনবাগান। জিতলে সেমিফাইনালে কলকাতায় খেলার সুযোগ পাবে সবুজ-মেরুন।