চলছে স্পেন এবং মরক্কোর ম্যাচ। ছবি: রয়টার্স
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রুদ্ধশ্বাস ফুটবল। এক বার স্পেন আক্রমণ করছে, তো পর ক্ষণেই মরক্কো। কিন্তু কোনও দলই গোল করতে পারল না। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষে তাই ম্যাচের ফল থাকল গোলশূন্যই।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশি আক্রমণে রাস্তায় হাঁটেনি স্পেন। তাদের ফুটবলাররা বল নিজেদের পায়ে বেশি ক্ষণ রাখার দিকেই নজর দেন। মরক্কো নির্ভর করেছিল প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলার উপর। স্পেনের বেশির ভাগ ফুটবলারই লক্ষ্য রাখছিলেন বিপক্ষের ভুলের দিকে। ফাঁকা জায়গা পেলেই আক্রমণ করবেন, এমনটাই লক্ষ্য ছিল লুই এনরিকের দলের ছেলেদের। কিন্তু মরক্কো বিপক্ষের পরিকল্পনা বুঝে ফেলেছিল। তারা একটুও ফাঁকা জায়গা দেয়নি। বক্সের বাইরে স্পেনের ফুটবলাররা পৌঁছে গেলেই ছেঁকে ফেলছিল মরক্কো। আক্রমণের সময় উইং দিয়ে দৌড়ে স্পেনকে নাজেহাল করে দেন সোফিয়ান বৌফাল। দুর্দান্ত ড্রিবলিং করে বিপক্ষের ঘুম উড়িয়ে দেন তিনি।
স্পেনের পায়ে বল থাকলেও আক্রমণে মরক্কোকে অনেক বেশি সপ্রতিভ লেগেছে। ম্যাচের প্রথম তাদেরই। আচরফ হাকিমির ফ্রি-কিক বারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। নৌসের মাজরাউইয়ের শট বাঁচিয়ে দেন স্পেনের গোলকিপার উনাই সিমন। তার পরেই সুযোগ আসে নায়েফ আগুয়ের্দের কাছে। বৌফালের কাছ থেকে ভাল বল পেলেও তাঁর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে স্পেনের গোলের সুযোগ এসেছিল মার্কো আসেনসিয়োর কাছে। মরক্কোর ডিফেন্সকে অতিক্রম করে বক্সে ঢুকে পড়লেও শট যায় বাইরে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দেয়। কেন গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী দল হয়ে নকআউটে উঠেছে মরক্কো, সেটা তারা বুঝিয়ে দেয় প্রতি মুহূর্তেই। ৫৪ মিনিটের মাথায় ফ্রিকিক পায় স্পেন। আসেনসিয়োর ফ্রিকিক থেকে বল পান দানি ওলমো। তাঁর কোনাকুনি শট বাঁচিয়ে দেন মরক্কোর গোলকিপার বোনো। আক্রমণ বাড়ানোর লক্ষ্যে আলভারো মোরাতাকে ৬৭ মিনিটে নামিয়ে দেন এনরিকে। তবে মোরাতা বিপক্ষের গোলের কাছেই পৌঁছতে পারছিলেন না। প্রথম সুযোগ পান ৮২ মিনিটের মাথায়। নিকো উইলিয়ামসের থেকে বল পেয়ে নিজে না মেরে বল পাঠিয়েছিলেন বক্সে। সেটি পায়ে ঠেকানোর জন্যে কেউ ছিলেন না।