প্রচুর ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ম্যাচের সময় দেখা যাচ্ছে অনেক আসন ফাঁকা। ছবি: টুইটার
কাতারে যত দিন গড়াচ্ছে, তত একের পর এক বিতর্ক দেখা দিচ্ছে। সবে দু’দিন হয়েছে প্রতিযোগিতা, তার মধ্যেই একাধিক বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কখনও বিয়ার পান নিষিদ্ধ হওয়া, কখনও টিকিটের অ্যাপ ভেঙে পড়া। সেই তালিকায় নতুন করে যোগ হল দর্শকসংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি। ফিফার তরফে প্রতি ম্যাচে দর্শকদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আসনসংখ্যার থেকেও বেশি মানুষ খেলা দেখতে হাজির হয়েছেন।
কিন্তু এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে ম্যাচের সময়। প্রচুর ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ম্যাচের সময় দেখা যাচ্ছে অনেক আসন ফাঁকা। বিশ্বকাপের বহু আগে থেকেই সব ম্যাচের টিকিট নিয়ে হুড়োহুড়ি লেগেছিল। তা হলে ম্যাচের সময় লোক আসছেন না কেন? ফিফার তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। উল্টে দর্শকসংখ্যার হিসাব পেশ করতে গিয়ে পাল্টা বিপাকে পড়েছে তারা।
ফিফার হিসাব অনুযায়ী, প্রথম ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন ৬৭,৩৭২ জন দর্শক। কিন্তু উদ্বোধনী ম্যাচের স্টেডিয়াম আল বায়েতের আসনসংখ্যাই ৬০ হাজার। যদি দু’দলের সমস্ত কর্মী এবং মাঠের কর্মীদেরও ধরা হয়, তা হলেও সেটা সাত হাজার বেশি হতে পারে না। তা ছাড়া, শুধুমাত্র দর্শকদেরই ধরা হয় এ ক্ষেত্রে।
এখানেই শেষ নয়, ইংল্যান্ড বনাম ইরান ম্যাচের দর্শকসংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে ৪৫,৩৩৪। সেই মাঠের আসনসংখ্যা ৪০ হাজার। সেই ম্যাচেও প্রচুর ফাঁকা আসন দেখা গিয়েছে। কারণ টিকিটের অ্যাপ অচল হয়ে যাওয়ায় অনেকে মাঠে ঢুকতেই পারেননি। পরের দু’টি ম্যাচ, অর্থাৎ সেনেগাল-নেদারল্যান্ডস এবং আমেরিকা-ওয়েলসের ক্ষেত্রেও আসনসংখ্যার থেকে বেশি দর্শকের কথা বলা হয়েছে। সকলেরই প্রশ্ন, সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে।
বিশ্বকাপে সব টিকিটই কিনতে হয় অনলাইনে। মাঠে কিউআর কোড স্ক্যান করে ঢুকতে হয়। পুরো প্রক্রিয়াটিই স্বয়ংক্রিয়। ফলে হিসাব গরমিলের কোনও জায়গাই নেই। একটা ম্যাচে প্রযুক্তির কারণে গরমিল হতেই পারে। কিন্তু চারটি ম্যাচেই সেটা কী করে সম্ভব? স্বাভাবিক ভাবেই, ফিফার কাছে উত্তর অজানা।