FIFA World Cup 2022

দূরবিনে বিয়ার নিয়ে কাতারের স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা! পুলিশের হাতে কি ধরা পড়লেন সমর্থক

ফুটবল বিশ্বকাপে বিয়ার নিষিদ্ধ। কিন্তু তার মধ্যেই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে স্টেডিয়ামে বিয়ার নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলেন এক জন সমর্থক। দূরবিনের মধ্যে বিয়ার নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২২ ১৬:১২
Share:

কাতার বিশ্বকাপে বিয়ার পানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই স্টেডিয়ামে এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। —ফাইল চিত্র

ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন কাতারে বিয়ার পান নিষিদ্ধ করেছে সে দেশ। কিন্তু তার পরেও আটকে রাখা যাচ্ছে না সমর্থকদের। স্টেডিয়ামের ভিতরে লুকিয়ে বিয়ার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন এক সমর্থক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে পুলিশ আটকে দেয় তাঁকে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকো বনাম পোল্যান্ড ম্যাচের আগে। মেক্সিকোর এক জন সমর্থক দূরবিনের মধ্যে বিয়ার নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ভেবেছিলেন, কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু স্টেডিয়ামের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকা পুলিশ সেই দূরবিনে চোখ রাখতেই বুঝতে পারেন ভিতরে কিছু রয়েছে। খুলে দেখেন তাঁরা। দূরবিনটি বাজেয়াপ্ত করেন তাঁরা। মেক্সিকোর সমর্থককে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে।

কাতারের স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি নিষিদ্ধ হয়েছে সে দেশের রাজপরিবারের জন্য। তারা নির্দেশ দিয়েছে, বিশ্বকাপের সব স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করতে হবে মদ বা মদ জাতীয় পানীয়ের বিক্রি। রাজপরিবারের এই নির্দেশ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি বিশ্বকাপের আয়োজকেরা। কাতার সরকারের নির্দেশে শেষ মুহূর্তে স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। তার ছবি দেখা গিয়েছে প্রথম ম্যাচেই। কাতারের বিরুদ্ধে খেলা চলাকালীন ইকুয়েডরের সমর্থকরা চিৎকার করেছেন, ‘‘বিয়ার চাই, বিয়ার দাও।’’

Advertisement

বিয়ার বিক্রি বন্ধ হওয়া নিয়ে অবশ্য বেশি চিন্তা করতে রাজি নন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। শনিবার দোহায় সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, যদি এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়, তা হলে বিয়ার পাকাপাকি ভাবে বন্ধের চুক্তিতে সই করেই দেবেন। এখানেই না থেমে তিনি বলেছেন, “স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি করা যাতে সম্ভব হয়, তার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা চেষ্টা করেছি। তা সত্ত্বেও বলব, তিন ঘণ্টা বিয়ার না খেলেও সবাই বেঁচে থাকবেন। এই কারণেই হয়তো ফ্রান্স, স্পেন, স্কটল্যান্ডে স্টেডিয়ামে মদ বিক্রি করা নিষিদ্ধ। হয়তো ওরা আমাদের থেকে বেশি বুদ্ধিমান। তাই জন্যেই এই কাজ করেছে।”

মাঠে যে বিয়ার পাওয়া যাবে না, তা নয়। কিন্তু তাতে অ্যালকোহল থাকবে না। ফিফা ফ্যান ফেস্টিভ্যালেই অ্যালকোহল-যুক্ত বিয়ার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নির্বাচিত কিছু হোটেলে বিয়ার ছাড়াও হুইস্কি, রাম, ওয়াইন পাওয়া যাবে। স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রির অনুরোধে কাতার সরকার প্রথমে রাজি হলেও শুক্রবার হঠাৎই তারা ঘুরে দাঁড়ায়। ফিফাও বিবৃতি জারি করে সিদ্ধান্ত বদলানোর কথা জানায়। এই সিদ্ধান্তে শুধু সমর্থকেরাই নন, ক্ষুব্ধ বিয়ার উৎপাদনকারী সংস্থাও। বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে তারা।

এত দিন পর্যন্ত ঠিক ছিল স্টেডিয়াম এবং ফ্যান-জ়োনে বিয়ারের অস্থায়ী দোকানগুলি থেকে খেলার শুরুর আগের এবং পরের ৩০ মিনিট বিয়ার বিক্রি করা হবে। স্টেডিয়াম চত্বরের নির্দিষ্ট জায়গায় বিয়ার পান করে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবেন ফুটবলপ্রেমীরা। খেলা দেখার টিকিট থাকলে তবেই স্টেডিয়াম চত্বরে বিদেশি নাগরিকেরা বিয়ার কিনতে পারবেন। এক জন চার গ্লাসের বেশি বিয়ার কিনতে পারবেন না। সম্ভাব্য অশান্তি এড়াতেই বিয়ার পানের ক্ষেত্রেও সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু রাজপরিবারের নতুন দাবিতে সেই ব্যবস্থাও বন্ধ হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement