এ ভাবেই বার বার আটকে গেলেন সুয়ারেসরা। ছবি: রয়টার্স
উল্টো দিকে ছিলেন লুই সুয়ারেস, ফেদেরিকো ভালভার্দে, এদিনসন কাভানির মতো নাম। কিন্তু কেঁপে গেল না দক্ষিণ কোরিয়া। দু’বার বিশ্বকাপজয়ীদের প্রথম ম্যাচে আটকে দিল তারা। ম্যাচের ফল গোলশূন্য। বিশ্বকাপে এশীয় দেশগুলির রূপকথা চলছেই। চলতি বিশ্বকাপে ইরান এবং অস্ট্রেলিয়া বাদে বাকি তিনটি দেশই অপরাজিত।
গত বারের বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া পরের পর্বে যেতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু চমকে দিয়েছিল গ্রুপের শেষ ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে। চার বারের বিশ্বজয়ীরা সেই ম্যাচে হেরে গিয়ে গ্রুপ থেকেই ছিটকে যায়। এ বারও প্রথম ম্যাচে উরুগুয়েকে হারিয়ে চমকে দেওয়ার সুযোগ ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে। উরুগুয়ের গোলকিপার দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে সেই কাজ করেও ফেলতে পারতেন সন হিউং মিনরা।
শেষের ১০ মিনিট দুর্দান্ত খেলা হল। দেখে মনে হচ্ছিল, যে কোনও দল গোল করে ফেলতে পারে। রিয়াল মাদ্রিদের ভালভার্দের দূরপাল্লার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। পর ক্ষণেই প্রতি আক্রমণে শট নিয়েছিলেন সন হিউং মিন। অল্পের জন্য সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধে দু’দলই একে অপরকে মেপে নেওয়ার খেলায় নেমেছিল। আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু গোলের সুযোগ কোনও দলের কাছেই খুব বেশি আসেনি। মাঝ মাঠে কোরিয়ার ইন-বিয়োম দুর্দান্ত খেলছিলেন। বল পাস করা থেকে নিয়ন্ত্রণ, সবেতেই বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়েছিলেন। বিরতির একটু আগে উরুগুয়ের দিয়েগো গোদিনের হেড বারে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও খুব ম্যাড়মেড়ে হয়। কোনও দলই সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। তবে শেষ ১০ মিনিটে খেলা জীবন্ত হয়ে ওঠে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে দুই দল। তবে গোলের মুখ শেষ পর্যন্ত খোলেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা প্রাপ্য। গোটা ম্যাচে তারা স্নায়ু ধরে রেখে ভাল খেলেছে। উল্টো দিকে বড় নাম থাকা সত্ত্বেও ভয় পায়নি।