গোলের পর আর্জেন্টিনার উল্লাস। ছবি: রয়টার্স
শেষের দিকে এসে কিছুটা হালকা দিচ্ছে আর্জেন্টিনা। পোল্যান্ডকে দেখে কখনওই মনে হচ্ছে না তারা গোল পেতে পারে। ম্যাচের শেষ দিকেও বলের নিয়ন্ত্রণ আর্জেন্টিনার পায়েই।
গোলদাতা আলভারেস এবং এনজোকে তুলে নিলেন স্কালোনি। কিন্তু আর্জেন্টিনার আক্রমণ অব্যাহত। এখনও গোলের সন্ধানে তারা।
ওহ মেসি! গোল করে ফেলতে পারতেন তিনি। বাঁ দিক থেকে সুন্দর পাস পেয়েছিলেন। অনায়াসে গোলে রাখতে পারতেন তিনি। কিন্তু তাঁর শট সোজাসুজি আটকে দিলেন গোলকিপার।
এ বার গোল করলেন আলভারেস। মাঝমাঠ থেকে এনজ়ো ফের্নান্দেসের পাস পেয়েছিলেন। ডান পাসে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ালেন তিনি।
গোল পেয়ে তেড়েফুঁড়ে খেলছে পোল্যান্ড। অতি রক্ষণাত্মক মানসিকতা ছেড়ে বেরিয়ে এসে গোলের দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে আর্জেন্টিনার কাছে খেলাটা অনেক সহজ হচ্ছে। মাঠে অনেক জায়গা পাচ্ছে তারা।
এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করে দিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। ডাউন দ্য লাইন দৌড়েছিলেন মোলিনা। সেখান থেকে তিনি ক্রস করেছিলেন। গোল করলেন আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার।
শেজেনি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে মেসির মুখে হাত চালিয়ে দেন। ভার-এর সঙ্গে আলোচনা করার পর পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। মেসির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচিয়ে দিলেন পোলিশ গোলকিপার। সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পেনাল্টি বাঁচিয়েছিলেন শেজেনি।
দি মারিয়া কর্নার থেকে সোজাসুজি গোলে শট নিয়েছিলেন। বাঁকানো বল গোলেই ঢুকছিল। শেজেনি বাঁচিয়ে দিলেন অল্পের জন্য। না হলে প্রথম গোল পেয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা।
অতি রক্ষণাত্মক মনোভাব নিয়ে খেলছে পোল্যান্ড। তাদের সব ফুটবলাররাই নিজেদের অর্ধে খেলছেন। প্রতি আক্রমণের উপর ভরসা রাখছে পোল্যান্ড। কিছু ক্ষণ আগেই মেসির শট গোলকিপার বাঁচান। তার পরেই আকুনার শট পোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল।
পোল্যান্ড পর পর ফ্রিকিক এক কর্নার পেয়েছিল। কোনওটাই কাজে লাগাতে পারল না তারা। তবে মাঝেমাঝেই আক্রমণে উঠছেন লেয়নডস্কিরা।
দি মারিয়া মেসিকে পাস দিয়েছিলেন। তিনি দেন দি পলকে। তাঁর থেকে মোলিনা পাস দেন মেসিকে। তবে আগেই বল আটকে দেন পোল্যান্ডের ডিফেন্ডার। তার পরেই মেসির থেকে বাঁ দিকে পাস পেয়েছিলেন আকুনা। তাঁর উঁচু শট বারের উপর দিয়ে উড়ে গেল।
শট করেছিলেন মেসি। তবে ডান পায়ের দুর্বল শট শেজেনির বাঁচাতে অসুবিধা হয়নি। সামান্য আগে আবার বল পেয়েছিলেন মেসি। তাঁর শট প্রতিহত হল সতীর্থের গায়ে লেগেই। তার পরে ফের একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। বাঁচিয়ে দিলেন গোলকিপার।
শুরুতেই কর্নার পেল আর্জেন্টিনা। দি মারিয়ায় কর্নার থেকে হেড প্রতিহত হল। পাল্টা ক্রস থেকে ওটামেন্ডির হেড বাইরে। পাল্টা পোল্যান্ডও আক্রমণ করছে।