দ্বিতীয় ম্যাচেও জিতল ফ্রান্স, কোন পথে ডেনমার্ককে হারালেন এমবাপেরা
নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড় জয় পেয়েছে ফ্রান্স। অন্য দিকে তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করেছে ডেনমার্ক। পর পর দু’ম্যাচ জিতে গ্রুপ শীর্ষে যাওয়ার লক্ষ্যে নামল ফ্রান্স।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শুরু থেকেই গোল করার চেষ্টা ফ্রান্স ও ডেনমার্কের। এরিকসনের গোলমুখী ক্রস তালুবন্দি করছেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। ছবি: রয়টার্স
জিতল ফ্রান্স
দ্বিতীয় বার পিছিয়ে পড়ার পরে আর ফিরতে পারেনি ডেনমার্ক। শেষ পর্যন্ত তাদের হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়।
৮৭ মিনিট
আবার গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন এমবাপে। বক্সের বাইরে থেকে বল তোলেন গ্রিজম্যান। ডিফেন্ডারকে ঘাড়ের কাছে নিয়ে ডান পায়ের টোকায় গোল করেন এমবাপে।
৭৯ মিনিট
গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। বক্সের মধ্যে সাইড ভলি থেকে গোল করার চেষ্টা করেন হাঁবিয়ে। ভাল মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু বার উঁচিয়ে বল চলে যায়।
৭২ মিনিট
পাঁচ মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যেতে পারত ডেনমার্ক। বক্সের মধ্যে ভাল জায়গায় বল পান ড্যামসগার্ড। তাঁর ডান পায়ের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বার করে দেন লরিস। নইলে চাপে পড়ে যেত ফ্রান্স।
৬৭ মিনিট
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ডেনমার্ক। তার ফলও মেলে। কর্নার থেকে সতীর্থের ব্যাক হেড থেকে হেডে গোল করলেন ক্রিশ্চেনসন। কিছু করার ছিল না লরিসের।
৬০ মিনিট
অবশেষে ডেনমার্কের রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। বাঁ দিকে থেকে এমবাপেকে পাস দেন হের্নান্দেস। পাল্টা তাঁকে পাস বাড়ান এমবাপে। গোল লাইন থেকে বক্সে বল রাখেন হের্নান্দেস। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন এমবাপে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
৫৯ মিনিট
ফ্রান্সের হয়ে সব থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজম্যান। বক্সের বাইরে বুকে রিসিভ করে বল নামিয়ে বক্সে ঢোকেন গ্রিজম্যান। সামনে গোলরক্ষক ছাড়া কেউ ছিলেন না। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
৫৬ মিনিট
নিজের গতি ব্যবহার করে প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে ডেনমার্কের ফুটবলারদের পিছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপে। তাঁর বাঁ পায়ের শট বার করে দেন স্কিমিশেল। এ বারেও গোল করতে পারেননি এমবাপে। বার বার আক্রমণ করছিল ফ্রান্স। কিন্তু কাজের কাজটাই করতে পারছিলেন না এমবাপেরা।
৫০ মিনিট
বাঁ প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ওঠেন এমবাপে। তিনি বল বাড়ান ডেম্বেলেকে। ফিরতি বলে পা দেওয়ার আগেই সেই বল ধরে নেন স্কিমিশেল। এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ফ্রান্স।
৪৮ মিনিট
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ডেনমার্কের। বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল রাখেন এরিকসন। কিন্তু সেই বল কাজে লাগাতে পারেননি কোনও সতীর্থ।
৪৫ মিনিট
মাঝেমাঝেই কড়া ট্যাকল হচ্ছিল। কার্ড বার করছিলেন রেফারি। ফলে খেলার গতি বাধা পাচ্ছিল। শেষ কয়েক মিনিটে দু’দলই কিছুটা মন্থর খেলছিল। গোল না খেয়ে বিরতিতে যাওয়ার দিকে মন দিয়েছিল তারা। সেটাই হয়। বিরতিতে যাওয়ার সময় খেলার ফল ০-০।
৪০ মিনিট
আবার একটি আক্রমণ তুলে আনে ফ্রান্স। অফসাইডের জাল কেটে ডান প্রান্ত ধরে এগিয়ে যান ডেম্বেলে। বক্সে অরক্ষিত থাকা এমবাপেকে বল দেন তিনি। এমবাপের ডান পায়ের শট গোল উঁচিয়ে চলে যায়। গোল করতে না পেরে হতাশ দেখায় এমবাপেকে।
৩৫ মিনিট
প্রতি-আক্রমণ থেকে গোল করার চেষ্টা করে ডেনমার্ক। ডান প্রান্তে বল পান ড্যামসগার্ড। তিনি বল বাড়ান কর্নেলিয়াসের দিকে। তাঁর ডান পায়ের জোরালো শট গোলের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। পরের মিনিটেই আক্রমণ তুলে আনে ফ্রান্স। ডেম্বেলে-এমবাপে যুগলবন্দিতে বক্সে বল পান জিহু। তাঁর হেড অল্পের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায়।
৩৩ মিনিট
বলে নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ঢোকেন গ্রিজম্যান। সামনে কোনও সতীর্থ না থাকায় সরাসরি গোলে মারেন তিনি। কিন্তু কোণ ছোট হয়ে যাওয়ায় গোল করতে পারেননি তিনি। স্কিমিশেলের পায়ে লেগে বল বেরিয়ে যায়। ফিরতি বলে গোল করার চেষ্টা করেন ডেম্বেলে। কিন্তু তিনিও সফল হননি।
৩০ মিনিট
ভাল আক্রমণ তুলে আনে ফ্রান্স। এমবাপে ও থিয়ো নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করে ড্যানিশ বক্সে ঢোকেন। থিয়োর ক্রস পান কৌন্ডে। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। কিন্তু গোলের সামনে থাকা ডেনমার্কের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল যায় স্কিমিশেলের কাছে। ফলে বিপদ তৈরি হয়নি।
২৬ মিনিট
খেলায় ফেরার চেষ্টা করছে ডেনমার্ক। মাঝমাঠে বলের দখল নিয়ে দু’প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনার চেষ্টা করছে তারা। আক্রমণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এরিকসন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভাল সুযোগ তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণকেও মজবুত করে রেখেছে দিদিয়ের দেশঁর ফ্রান্স।
২১ মিনিট
ফ্রিকিক থেকে ডান প্রান্তে ডেম্বেলেকে বল দেন গ্রিজম্যান। ডেম্বেলের ক্রস থেকে হেড করেন হাঁবিয়ে। কিন্তু ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বল বাইরে বার করে দেন ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্কিমিশেল। ফলে গোল পায়নি ফ্রান্স।
১৯ মিনিট
ডেনমার্কের গোলমুখী আক্রমণ আটকে দেন গ্রিজম্যান। নিজেদের বক্সে বল ধরে প্রতি-আক্রমণ শুরু করেন তিনি। অনেকটা দৌড়ে এমবাপের উদ্দেশে বল বাড়ান গ্রিজম্যান। এমবাপেকে আটকাতে ফাউল করেন ক্রিশ্চেনসন। ফলে রেফারি তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান।
১২ মিনিট
গ্রিজম্যানের কর্নার থেকে গোলের সামনে থেকে হেড করেন ভারান। গোলের দিকে বল যাচ্ছিল। কিন্তু বল গোলে ঢোকার আগেই ডান পায়ের টোকায় তা বার করে দেন জোয়াকিম মেহেলে। নইলে চোট সারিয়ে ফিরেই গোলের তালিকায় নাম লেখাতে পারতেন ফ্রান্সের ডিফেন্ডার।
১০ মিনিট
বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণ তুলে আনে ফ্রান্স। বক্সে বল তোলেন থিয়ো হের্নান্দেস। ফিরতি বল পেয়ে গিয়েছিলেন অলিভিয়ের জিহু। কিন্তু পায়ে-বলে সংযোগ করতে পারেননি তিনি। পরের মিনিটেই ফরাসি বক্সে আক্রমণ তুলে আনেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। কিন্তু ডেনমার্কের কোনও ফুটবলার হেড করার আগেই বল তালুবন্দি করেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগো লরিস।