আর্জেন্টিনায় উল্লাস দেশবাসীর। ছবি: রয়টার্স
ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পরে গোটা আর্জেন্টিনা দেশটাই মেতে উঠেছে উল্লাসে। দোহায় মাঝরাতে লুকা মদ্রিচের দলকে লিয়োনেল মেসিরা যখন হারালেন, তখন আর্জেন্টিনায় সবে বিকেল নামছে। আগের সব ম্যাচের মতোই আর্জেন্টিনার বিভিন্ন শহরের প্রান্তে জায়গায় জায়গায় খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। ম্যাচের পরেই তাঁরা ফেটে পড়েন উল্লাসে।
রাজধানী বুয়েনোস আইরেসে মানুষের উল্লাস ছিল সবচেয়ে বেশি। আর্জেন্টিনায় এটি সবচেয়ে ফুটবল পাগল শহর। সিটি সেন্টারের সামনে খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। বুয়েনোস এয়ার্সের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে ওবেলিস্ক, যা একটি লম্বা মিনার। সমাজমাধ্যমে যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, দেখা যাচ্ছে সেই মিনারের তলায় রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। যে দিকে চোখ যায় সে দিকে শুধুই কালো মাথা। প্রায় সবার পরনে আর্জেন্টিনার জার্সি। হাতে পতাকা। পাগলের মতো সেই পতাকা নিয়ে নাচছেন তাঁরা।
মৌরিসিয়ো গাসান্দ্রিয়া নামে এক সমর্থক বলেছেন, “ফাইনাল হল সবার সেরা ম্যাচ। এর থেকে বেশি কিছু এই দলের থেকে আশা করতে পারতাম না। অসাধারণ অনুভূতি। চারিদিকের পরিবেশ দেখলেই বোঝা যাবে।” রামিরো মন্টেইরো নামে এক সমর্থক বলেছেন, “এই বিশ্বকাপের সঙ্গে আগের কোনওটারই তুলনা করা যায় না। এই বিশ্বকাপে দিয়েগো (মারাদোনা) নেই। তার উপর এটাই মেসির শেষ বিশ্বকাপ।”
বহু মানুষ চড়ে বসেছিলেন বাস স্টপের মাথায়, রাস্তার ধারে লাগালো আলো এবং বিভিন্ন ভাস্কর্যের মাথায়। সেখানে বসেই পতাকা ওড়াতে ওড়াতে স্প্যানিশ ভাষায় গান গাইতে থাকেন তাঁরা। নাগাড়ে গাড়ির হর্ন বাজানো এবং ড্রাম পেটানো তো ছিলই। অ্যাঞ্জেলেস নামে এক সমর্থক বললেন, “এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করে বোঝানো যাবে না। গোটা আর্জেন্টিনার অবস্থা এখন পাগলের মতো।” মার্টিন দুয়ার্তে নামে আর এক জন বলেন, “অনেক দিন ধরে এই মুহূর্তটা আবার দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ফাইনালের হার নিয়ে অনেক বছর কেঁদেছি। আবার একটা ফাইনাল। এ বার কাপ জিতবই।”