ছবি রয়টার্স।
ফরাসি লিগ ওয়ান
ক্লেহম ১ পিএসজি ৬
একই ম্যাচে জোড়া হ্যাটট্রিকের ব্যতিক্রমী ঘটনা। নেমার দা সিলভা স্যান্টোস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপের। এবং ছ’টি গোলের মধ্যে তিনটি গোলই হল লিয়োনেল মেসির ঠিকানা লেখা পাস থেকে। নেমার, এমবাপে দু’জনই হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি একটি করে গোল পরস্পরকে দিয়ে করালেনও। শনিবার প্যারিস সাঁ জারমাঁ ৬-১ গোলে ক্লেহম-কে হারিয়ে ফরাসি লিগ ওয়ান জয় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল।
হ্যাটট্রিকের দুই নায়ক ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। নেমার প্রথম গোল করেন ছ’মিনিটে। এমবাপের গোল ১৯ মিনিটে। তবে প্রতিপক্ষ দলের জোদেল দোসোউ ৪২ মিনিটে একটি গোল করে ব্যবধান কমান।
তার পরে নিমেষে ফল ৪-১ হয়ে যায় নেমার (পেনাল্টি থেকে করা গোলে) ও এমবাপের সৌজন্যে। ম্যাচের প্রথম হ্যাটট্রিক করেন ফরাসি স্ট্রাইকার। অসাধারণ বাঁক খাওয়ানো একটা শটে। সুযোগ সন্ধানী ব্রাজিলীয় তারকার হ্যাটট্রিক আসে খেলার শেষ লগ্নে (৮৬ মিনিট)। জয়ের পরে ফরাসি সংবাদমাধ্যমকে এমবাপে বলেছেন, “ভাবতে খারাপই লাগছে, মরসুমের শেষ লগ্নে এসে মেসি এবং নেমারের সঙ্গে বোঝাপড়া এত মসৃণ হল। না হলে আমরা আরও অনেক সাফল্য নিশ্চিত ভাবে পেতাম।”
গোল না পেলেও শনিবার পিএসজির বড় ব্যবধানে জয়ের নেপথ্যে ছিলেন মেসি। বেশির ভাগ আক্রমণে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। নতুন ক্লাবে আসার পরে শনিবারই লিয়ো আক্ষরিক অর্থে চিরপরিচিত সেই সৃষ্টিশীল ফুটবল উপহার দেন। তাঁর জন্য ম্যাচে ৬৪ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল পিএসজির। বিপক্ষ গোল লক্ষ্য করে ১৭টি শট নেন এমবাপেরা। যার মধ্যে ১০টিই ঠিকঠাক লক্ষ্যে পৌঁছয়। একই সঙ্গে এমবাপের খেলা দেখেও বোঝার উপায় ছিল না যে, এই মুহূর্তে তাঁর ক্লাব ছাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ম্যাচের পরে যে প্রসঙ্গে এমবাপেকে প্রশ্ন করা হলে, ফরাসি তারকা বলে দেন, “কী করব, সেটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”