১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবল জীবন শুরু করার পর কলকাতার তিন বড় ক্লাবেই খেলেছেন। হুগলির মানুষ সুরজিতের প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর।
টানা এক যুগ খেলেছেন কলকাতার তিন বড় ক্লাবে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
বাংলার ফুটবলে আরও এক নক্ষত্রপতন। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যেই প্রয়াত হলেন একই প্রজন্মের তারকা ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে প্রয়াত হন সুরজিৎ।
কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ২৪ জানুয়ারি (গত সোমবার) থেকে ইএম বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কম ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল, সঙ্গে প্রচণ্ড কাশি। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও, মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু রাতে আচমকা অবনতি শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। কথাবার্তা অসংলগ্ন হয়ে পড়ে। অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছিল কৃত্রিম পদ্ধতিতে। এ অবস্থায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার রাত থেকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে আইসিইউ-তে ছিলেন তিনি।
১৯৫১ সালের ৩০ অগস্ট সুরজিতের জন্ম। খিদিরপুর ক্লাবে ফুটবল জীবন শুরু করার পর কলকাতার তিন বড় ক্লাবেই খেলেছেন। হুগলির মানুষ সুরজিতের প্রথম বড় ক্লাব মোহনবাগান। ১৯৭২ সাল থেকে দু’বছর মোহনবাগানে ছিলেন। ১৯৭৪ সালে ইস্টবেঙ্গলে। সেই থেকে টানা ছ’বছর লাল-হলুদে খেলেন। ১৯৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। পরের বছর ফের মোহনবাগানে। খেলেন তিন বছর।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
১৯৭৮ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন। দেশের হয়ে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৬ সালে সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার অধিনায়ক হন।
শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নক্ষত্র ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। দেশের অন্যতম সেরা উইঙ্গার সুরজিৎ সেনগুপ্ত দুই প্রধান ক্লাব ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে খেলেছেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাঁকে সুভদ্র মানুষ হিসেবে জানতাম। আমি সুরজিৎ সেনগুপ্তের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’