East Bengal

সামনে নর্থইস্ট, সমস্যা নিয়েই মঙ্গলবার ডুরান্ডের সেমিফাইনালে নামছে ইস্টবেঙ্গল

মঙ্গলবার ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতীতে তাদের প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েই খেলতে নামছে লাল-হলুদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৩১
Share:

ইস্টবেঙ্গলের সিভেরিয়ো (বাঁ দিকে) এবং এলসি। — ফাইল চিত্র।

ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ১৯ বছর পর ডার্বি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেমিফাইনালে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই। ১৯ বছর আগের রাত ফেরাতে গেলে দুই প্রধানকেই সেমিফাইনালে জিততে হবে। প্রথম মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। মঙ্গলবার যুবভারতীতে তাদের প্রতিপক্ষ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। প্রতিযোগিতায় অপরাজিত থাকা নর্থইস্ট মোটেই সহজ প্রতিপক্ষ নয় ইস্টবেঙ্গলের কাছে।

Advertisement

ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের গোল করার লোকের অভাব। দলে যোগ দিলেও এখনও স্কোরশিটে নাম লেখাতে পারেননি ক্লেটন সিলভা। নির্ভর করতে হচ্ছে সাউল ক্রেসপো, জেভিয়ার সিভেরিয়োর মতো বিদেশির উপরে। দেশীয় ফুটবলারেরা গোল করতে পারছেন না। নিঃসন্দেহে কার্লোস কুয়াদ্রাতকে তা চিন্তায় রাখবে।

অনুশীলনে অবশ্য সব রকম কম্বিনেশনই খেলে দেখিয়ে নিচ্ছেন কোচ। সব ফুটবলারকেই তৈরি রাখছেন তিনি। মন্দার রাও দেশাই, নিশু কুমার, নাওরেম মহেশ, নন্দকুমার— বিভিন্ন দেশি ফুটবলারকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হতে পারে। হোসে পারদোকে খেলানো হতে পারে বোরহা হেরেরার জায়গায়। মাঝমাঠের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারেন ক্রেসপো এবং সিভেরিয়ো।

Advertisement

ম্যাচের আগে কোচ কুয়াদ্রাত বলেছেন, “গোকুলমের বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচ খেলে সেমিফাইনালে উঠেছি। তবে নর্থইস্ট একটা ম্যাচেও হারেনি। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার দারুণ ভারসাম্য রয়েছে ওদের দলে। ফলে ওদের বিরুদ্ধে লড়াই মোটেই সহজ হবে না। তবে আমার ফুটবলারদের নিয়ে সমস্যা নেই। ওরা নিজেদের কাজটা ভালই জানে। আমরা ঠিক দিকেই এগোচ্ছি।”

মুখোমুখি সাক্ষাতে নর্থইস্ট এগিয়ে থাকলেও ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর কঠিন কাজ সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। এখনও পর্যন্ত সব ম্যাচ গুয়াহাটিতে খেলেছে নর্থইস্ট। ডুরান্ডে প্রথম বার তারা খেলবে কলকাতায়। নর্থইস্টের কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালি বলেছেন, “সেমিফাইনালকে অন্য কোনও ম্যাচের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ওদের ঘরের মাঠে খেলছি। সব পজিশনে ওদের ফুটবলার রয়েছে। রিজার্ভ বেঞ্চও শক্তিশালী। কিন্তু আমরা উত্তর-পূর্বের প্রতিনিধি হিসাবে এখানে খেলতে এসেছি। সমর্থকেরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। আমরা ওদের গর্বিত করতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement