শহরে ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: টুইটার।
রবিবার মধ্যরাতে কলকাতায় পৌঁছেছিলেন তিনি। বিমানবন্দরে হাজার খানেক মানুষ লাল-হলুদের নতুন কোচকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন। সামান্য বিশ্রাম নিয়ে কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখতে সোমবার দুপুরে পৌঁছে গিয়েছিলেন নৈহাটিতে। তাতেও ইস্টবেঙ্গলের জয় দেখা হল না কার্লেস কুয়াদ্রাতের। সোমবার বিএসএস স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করল ইস্টবেঙ্গল। ফ্রিকিক থেকে দীপ সাহার ভাল গোলও ইস্টবেঙ্গলকে জয় এনে দিতে পারল না। শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে ড্র করল ইস্টবেঙ্গল।
রবিবার রাত ২.২০ নাগাদ কুয়াদ্রাতের বিমান কলকাতার মাটি ছোঁয়। সহকারী কোচ দিমাস দেলগাদো এবং কন্ডিশনিং কোচ অ্যালবার্ট মার্তিনেস বার্নাতকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন কুয়াদ্রাত। অত রাতেও বিমানবন্দরে সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই অবাক হয়ে যান তিনি। অপেক্ষমান জনতার উদ্দেশে হাত নাড়ান। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কিছু কর্তা হাজির ছিলেন। লাল-হলুদ ফুলের তোড়া এবং উত্তরীয় পরিয়ে নতুন কোচকে বরণ করে নেওয়া হয়।
হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়েই ইস্টবেঙ্গলের যুব দলের খেলা দেখতে নৈহাটিতে গিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। বিএসএসের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল দাপটের সঙ্গে শুরু করলেও ধাক্কা খেতে হয় ম্যাচ কিছু ক্ষণ গড়াতে না গড়াতেই। ১৫ মিনিটের মাথায় বিএসএসের ফুটবলারকে ধাক্কা মেরে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন আগের ম্যাচের নায়ক তুহিন দাস। ম্যাচের প্রায় পুরো সময়টাই ১০ জনে খেলতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
প্রথমার্ধে আরও কয়েকটি সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ২৪ মিনিটে দূরপাল্লার শটে গোল হয়নি। ৩৫ মিনিটে বিপক্ষ গোলকিপার মৃন্ময় তাঁতির সেভ লাল-হলুদকে এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত করে। ৪৩ মিনিটে ফ্রিকিক পেলেও গোল হয়নি। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে নৈহাটির মাঠ কাদাকাদা হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই একটি দারুণ সুযোগ নষ্ট করেন শ্যামল বেসরা। বক্সের মধ্যে সার্থক গলুইয়ের পাস পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পোস্টের পাশ দিয়ে শ্যামলের শট বেরিয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল একের পর এক আক্রমণ করলেও বিএসএস জোর দিয়েছিল রক্ষণেই। ফলে একাধিক আক্রমণ করেও গোলের মুখ খুলছিল না ইস্টবেঙ্গলের।
খেলা শেষের মিনিট খানেক আগে বক্সের বাইরে ফ্রিকিক পায় ইস্টবেঙ্গল। দীপ সাহার ফ্রিকিক বিএসএসের ওয়ালকে পরাস্ত করে সরাসরি জালে জড়িয়ে যায়। গোটা ম্যাচ ধরে ক্রমাগত গোলের সুযোগ তৈরি করার ফল পান দীপ। দুর্ভাগ্য, ইস্টবেঙ্গল সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি গোলকিপারের ভুলে। অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় আট মিনিট। একদম শেষ মিনিটে একটি প্রচেষ্টা ক্লিয়ার করতে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার নিশাদ। ফাঁকা গোলে বল ঠেলে ইস্টবেঙ্গলের নিশ্চিত দু’পয়েন্টের স্বপ্ন শেষ করে দেন সৌরভ সেন।