আনোয়ার আলি। ছবি: এক্স।
আনোয়ার আলিকে নিয়ে জলঘোলা কাটছে না। গত মরসুমে মোহনবাগানে খেলা এই ফুটবলারকে পেতে ঝাঁপিয়েছে ইস্টবেঙ্গলও। পাঁচ বছরের চুক্তিও করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু সবুজ-মেরুন দলের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে ছাড়তে নারাজ। ফলে আইনি লড়াইয়ের দিকে গড়াচ্ছে ব্যাপারটি। আনোয়ারকে অনুশীলনে ডেকেছে মোহনবাগান।
এ দিকে, আনোয়ার নিজেই নাকি মোহনবাগানের সঙ্গে লোনের চুক্তি ছিন্ন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ইস্টবেঙ্গল তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য চার থেকে সাড়ে চার কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি দিল্লি এফসি-ও ট্রান্সফার ফি হিসাবে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পেতে পারে বলে সূত্রের খবর।
শুক্রবার সকাল থেকে আনোয়ারের একটি ই-মেলের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সমাজমাধ্যমে। আনন্দবাজার অনলাইন সেটির সত্যতা যাচাই করেননি। তবে সূত্রের খবর, আনোয়ার সেই ই-মেল পাঠিয়েছেন মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টকে। গত ১০ জুলাই, দুপুর ৩.০৮ মিনিটে পাঠানো সেই ই-মেলে আনোয়ার জানিয়েছেন, গত ৮ জুলাই মোহনবাগানের সঙ্গে লোনের চুক্তি ছিন্ন করেছেন তিনি। মোহনবাগানের সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে চুক্তি সই করাতে আগ্রহী তিনি। তবে ভাল প্রস্তাব দেওয়া হলে তবেই রাজি হবেন। মোহনবাগানকে এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য দিল্লি এফসি-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেছিলেন আনোয়ার। তবে কোনও ফুটবলার একপাক্ষিক ভাবে চুক্তি বাতিল করতে পারেন কি না, সেটাই প্রশ্ন।
তার পরের দিন, অর্থাৎ ১১ জুলাই ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা চণ্ডীগড়ে গিয়ে আনোয়ারকে সই করান বলে জানা গিয়েছে। তবে আইনি জটিলতা থাকার কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করতে পারছে না ইস্টবেঙ্গল।
মোহনবাগানও হাল ছাড়তে রাজি নয়। শুক্রবার আনোয়ারকে নিয়ে আর একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছে তারা। পাশাপাশি, আনোয়ারকে ই-মেল করে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে অনুশীলনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা লিগে আনোয়ারকে খেলানোর জন্য আইএফএ-র কাছে নথিভুক্তির আবেদনও করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু আইএফএ জানিয়েছে, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি (পিএসসি) র সিদ্ধান্ত না জানা পর্যন্ত তারা নথিভুক্তি করাবে না। বিষয়টি আরও চাপে ফেলেছে মোহনবাগানকে।
এই পরিস্থিতিতে, পিএসসি-র সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হতে চলেছে। তবে মোহনবাগান আইনি লড়াইয়ে যেতে চাইলে আরও পথ খোলা থাকছে। তারা ফিফার খেলোয়াড়দের সংগঠনের কাছে আবেদন জানাতে পারে। সেটা না হলে কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে (ক্যাস) আবেদন করতে পারে তারা।