সোমবার ভুবনেশ্বরে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা ডার্বি জয়ের পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। রবিবার দলকে ছুটি দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। সোমবারই সেমিফাইনালের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। বুধবার প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি। ডার্বি জিতে থামতে চাইছে না লাল-হলুদ। তাদের লক্ষ্য ট্রফি। সেই ভাবনা দলের মধ্যেও ঢুকিয়ে দিয়েছেন কোচ।
সোমবার ইস্টবেঙ্গল মিডিয়া টিমকে সাক্ষাৎকারে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “ট্রফি জয় ক্লাবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুটো ভাল সপ্তাহ কাটিয়েছি। ডুরান্ড কাপের ফাইনাল এবং সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠেছি। এখনও ফাইনাল থেকে এক ধাপ দূরে। দল ভাল খেলছে। ফুটবলারেরাও ফোকাস্ড। আবার ফাইনালে ওঠার সুযোগ ওরা হাতছাড়া করতে চায় না। কারণ ট্রফির জন্যই লড়াই।”
দলের মধ্যে তরুণ এবং অভিজ্ঞতা ফুটবলারদের ভারসাম্য রয়েছে। তরুণদের বেশি সুযোগও দিচ্ছেন কুয়াদ্রাত। যেমন, মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে নেমেছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “আমরা একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ধরে এগোচ্ছি। যারা ভবিষ্যতের তারকা হতে পারে তাদের বেশি করে সুযোগ দেওয়া আমার দায়িত্ব। ওদের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা দরকার। ডার্বির মতো ম্যাচে কারও কারও অভিষেক হয়েছে। এতে ওরাও তৃপ্ত হবে। অনেক কিছু শিখতে পারবে।”
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে গত আট ম্যাচে হারেনি ইস্টবেঙ্গল। এমন জিনিস অনেক দিন দেখেননি সমর্থকেরা। দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “ধারাবাহিকতা ধরে রাখা খুব দরকার। ইস্টবেঙ্গলে এটা ছিল না। হয়তো মুম্বই বা বেঙ্গালুরুর মতো দলকে হারিয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে রেকর্ড মোটেই ভাল ছিল না। রক্ষণ দুর্বল ছিল। একটা পরিকল্পনা ধরে এগোলে আগে রক্ষণ শক্তিশালী করতে হয়। ফুটবলারদের এটা বোঝানোর দরকার ছিল যে উন্নতি করতে গেলে আগে রক্ষণ শক্তিশালী করতে হয়। আমি খুশি যে অনেকগুলো ক্লিন শিট রাখতে পেরেছি। ধারাবাহিকতা দেখাতে পেরেছি।”