ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। — ফাইল চিত্র।
প্লে-অফে জিতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মূলপর্বে পৌঁছে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্লাব আল নাসের। মঙ্গলবার রাতে আমিরশাহির শাবাব আল-আহলিকে ৪-২ গোলে হারাল তারা। কিন্তু রোনাল্ডো কোনও গোল করতে পারেননি। তবে তিন বার তাঁর পেনাল্টির আবেদন কর্ণপাত করেননি রেফারি। রোনাল্ডোকে তার জন্যে প্রকাশ্যেই ক্ষিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে।
পর্তুগিজ ফুটবলার প্রথম বার পেনাল্টির আবেদন করেন ২৭ মিনিটে। শাবাবের এক ডিফেন্ডার বক্সের মধ্যে রোনাল্ডোর হাঁটুতে লাথি মারেন। রোনাল্ডো পড়ে গেলেও রেফারি সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নির্দেশ দেন উঠে পড়ার। দেননি পেনাল্টিও। ৪৫ মিনিটের মাথায় রোনাল্ডো একটি সাইড ভলি মেরেছিলেন। সেটি বিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের হাতে লেগে দিক বদলায়। সেটাও পেনাল্টি দেননি রেফারি। দু’মিনিট পরে রোনাল্ডোকে আবার বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও রেফারি রোনাল্ডোর আবেদনে কর্ণপাত করেননি।
রোনাল্ডো আর মেজাজ সামলাতে পারেননি। বিরতির সময়ে রেফারিদের দিকে ছুটে যান। আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা বলতে থাকেন। পাশাপাশি লাইন্সম্যানদের দিকেও তাকিয়ে বলে, চোখ খুলে মাঠে কী হচ্ছে সেটা দেখতে। বার বার বলেন, ‘ওয়েক আপ, ওয়েক আপ’। অর্থাৎ জেগে ওঠো।
ট্যালিস্কার গোলে আল নাসের এগিয়ে গেলেও বিরতিতে ২-১ এগিয়েছিল শাবাব। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশির ভাগ সময়ে আল নাসের সুযোগ তৈরি করে কাজে লাগাতে পারেননি। কিন্তু শেষ পাঁচ মিনিটে জেগে ওঠে রোনাল্ডোর ক্লাব। তিনটি গোল করে তারা। সুলতান আল গ্রান্নাম, ট্যালিস্কা এবং মার্সেলো ব্রোজোভিচ গোল করেন। ম্যাচের পর টুইটারে রোনাল্ডো লেখেন, “কঠিন ম্যাচ, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস রাখি। কখনও হাল ছেড়ে দিই না।”