Mamata Banerjee

এটিকে-টেটিকে ভাল লাগে না, মোহনবাগান মোহনবাগান-ই, ট্রফি দেখতে এসে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

মোহনবাগানের নামের শুরুতে ‘এটিকে’ শব্দবন্ধ পছন্দ ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। এটি সরানোর জন্য তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীকে উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। সোমবার ক্লাব তাঁবুতে এসে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩ ১৭:০৭
Share:

সোমবার মোহনবাগান মাঠের অনুষ্ঠানে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

‘এটিকে মোহনবাগান’ থেকে ‘মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস’। শনিবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স়ঞ্জীব গোয়েঙ্কা নাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। সোমবার মোহনবাগান তাঁবুতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বলেছিলেন সিইএসসি কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলতে।

Advertisement

আইএসএল চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের ক্লাব তাঁবুতে সোমবার সংবর্ধনা দিল মোহনবাগান। সেই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটিকে-টেটিকে শুনতে ভাল লাগে না। মোহনবাগান, মোহনবাগান-ই। অরূপকে বলেছিলাম, সঞ্জীবের সঙ্গে কথা বলতে।’’

মোহনবাগান সমর্থকদের একাংশ ২০২০ সাল থেকে ‘রিমুভ এটিকে’ আন্দোলন শুরু করেন। ২০২২ সালে ক্লাবের নামের আগে থেকে এটিকে সরানোর দাবি আরও তীব্র হয়। সমর্থকদের একাংশ ক্লাবের ম্যাচ বয়কট করা শুরু করেন। তাঁদের দীর্ঘ দিনের দাবিকে মান্যতা দিয়েছেন বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী আরপি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গোষ্ঠীর কর্ণধার। শনিবার আইএসএল জয়ের পর গোয়ার মাঠেই তিনি ঘোষণা করেন, আগামী মরসুম থেকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস নামে আইএসএল খেলবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

Advertisement

নাম বদল নিয়ে মোহনবাগানের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ ফেসবুকে লেখেন, ‘‘কারা বলছিল এটিকে সরাতে কর্মসমিতি কিছু করছে না? কারা বলছিল শুধু পদে বসে আছি? আজ সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বলব, মনে রাখবেন, সহ-সভাপতি হিসেবে প্রথম বৈঠকে আমিই আনুষ্ঠানিক ভাবে এটিকে সরানোর আলোচনার দরজা খোলার কথা বলি। কর্মসমিতি সম্মত হয়। তার পর থেকেই প্রক্রিয়া চলছিল।’’

মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। উনি ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য নন। তবু ব্যক্তিগত ভাবে ক্রীড়ামন্ত্রীকে নাম বদলের কথা বলেছেন। ক্লাবের তরফে আমাদের কর্মসমিতিই প্রথম এটিকে সরানো নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরকারি ভাবে কথা শুরু করে। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কিছুটা সময় লেগেছে। এ সব ঘোষণা করার জন্য একটা ভাল সময় দরকার হয়। সে দিন আনন্দের মুহূর্তে সঞ্জীববাবু ঘোষণা করেছেন। কুণাল ঘোষ আমাদের কর্মসমিতির সদস্য। তিনিও এই প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন। এর আগের কমিটি এ নিয়ে কোনও উদ্যোগই নেয়নি। তারা সদস্য, সমর্থকদের আবেগের গুরুত্ব দেয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement