মোহনবাগান সমর্থক। —ফাইল চিত্র।
যুবভারতীতে টিফো নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে। নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। যদিও শুধুমাত্র বিরতির সময় সেই টিফো দেখানো যাবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম বেঙ্গালুরু এফসি-র ম্যাচ রয়েছে। ডুরান্ডের সেই ম্যাচে টিফো নিয়ে ঢুকতে পারবেন সমর্থকেরা। কিন্তু খেলা চলাকালীন সেই টিফো দেখানো যাবে না। খেলা শুরুর আগে বা বিরতির সময় দেখানো নিয়ে আপত্তি নেই হাই কোর্টের।
সোমবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে ফতোয়া জারি করা হয়েছিল, মঙ্গলবার যুবভারতীতে কোনও টিফো (ব্যানার, পোস্টার) নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের সেই নির্দেশিকা বাতিল করতে চেয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। পুলিশের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়ূখ বিশ্বাস। হাই কোর্টে বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলায় রায় দিলেন।
হাই কোর্টের নির্দেশ, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। কিন্তু সেই টিফো ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি করা যাবে না। মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
বিধাননগর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ডুরান্ড কাপ কমিটিকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন মঙ্গলবার যুবভারতীতে টিফো (ব্যানার, পোস্টার), ড্রাম এবং কোনও প্রকার দাহ্যপদার্থ নিয়ে কেউ ঢুকতে পারবেন না। ডুরান্ড কমিটির তরফে যেন মোহনবাগান ও বেঙ্গালুরু এফসি-কে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু মাত্র খেলা শুরুর আগে বা বিরতির সময় টিফো দেখানো যাবে। যাতে কোনও দর্শকের খেলা দেখতে অসুবিধা না হয়। বিচারপতিরা অভিধানে টিফো শব্দের অর্থ দেখেন এবং তাঁরা জানান যে, এটি খেলার অঙ্গ।
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে এর আগেও তিন প্রধানের সমর্থকদের প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছিল। ১৮ অগস্ট যুবভারতী মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয় যুবভারতী থেকে। একটি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল পরে যুবভারতীতে ফিরিয়ে আনেন ডুরান্ড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার যুবভারতীতে কোনও গন্ডগোল চাইছে না মোহনবাগানও। সোমবার সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছিলেন, ‘‘মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে অনুরোধ করব, গ্যালারিতে আপনার পাশের লোকটি যদি কোনও গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেন, তাঁকে বিরত করার চেষ্টা করবেন। কারণ, আমরা তিন প্রধান অনেক চেষ্টা করে ডুরান্ড কাপ কলকাতায় ফিরিয়ে এনেছি। তাই চাই না মাঠে এমন কোনও ঘটনা ঘটুক যাতে ফাইনাল ফের অন্য কেন্দ্রে স্থানান্তরিত হয়ে যাক।’’