উচ্ছ্বাস: ডুরান্ড ফাইনালে উঠে কৃষ্ণ ও প্রবীর। নিজস্ব চিত্র
হায়দরাবাদ এফসিকে হারিয়ে প্রথমবার ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু এফসি। কিন্তু সুনীল ছেত্রী ও বার্তোলোমেউ ওগবেচের গোল দেখার আশা অপূর্ণই থাকল বৃহস্পতিবার রাতে যুবভারতীতে হাজির হাজারখানেক ফুটবলপ্রেমীর। দুই তারকাই যে হতাশ করলেন।
যুবভারতীতে দক্ষিণের ডার্বিতে গত বারের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদকে এগিয়ে রেখেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে বেঙ্গালুরুকে চাপে ফেলে দেয় হায়দরাবাদ। আট মিনিটে হোলিচরণ নার্জ়ারির পাস থেকে নেওয়া ওগবেচের শট কর্নার করে বাঁচান গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু। ১২ মিনিটে ফের হায়দরাবাদ স্ট্রাইকার বল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন বেঙ্গালুরু বক্সে। কোনও মতে ওগবেচেকে আটকান সন্দেশ জিঙ্ঘন।
হায়দরাবাদের স্পেনীয় কোচ মানুয়েল মার্কুয়েসের প্রধান অস্ত্রই আক্রমণাত্মক ফুটবল। ওগবেচেরা যে ভাবে খেলা শুরু করেছিলেন, মনে হচ্ছিল গোল হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বেঙ্গালুরুর রণনীতি ছিল রক্ষণ মজবুত করে প্রতিআক্রমণে গোল করার চেষ্টা করা। এই কারণেই রয় কৃষ্ণকেও বারবার নেমে আসতে হচ্ছিল রক্ষণে। তা সত্ত্বেও ওগবেচেদের আটকাতে নাজেহাল হচ্ছিলেন সন্দেশরা। কিন্তু গোল করা ছাড়া সবই করলেন হায়দরাবাদের ফুটবলাররা। ৩০ মিনিটে গতির বিরুদ্ধে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু এফসি। ডান প্রান্ত দিয়ে উঠে বিপক্ষের পেনাল্টি বক্সে কৃষ্ণের উদ্দেশে মাইনাস করেছিলেন প্রবীর দাস। বল বিপন্মুক্ত করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন ওদেই সাবালা। হারদরাবাদ ডিফেন্ডারের আত্মঘাতী গোলেই বেঁচে থাকল রবিবার মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে সুনীল ও বেঙ্গালুরুর প্রথমবার ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।