Mamata Banerjee

Mamata Banerjee at East Bengal: বাড়িতে রোজ ১০০ বার বল নাচাই, যাতে ‘খেলা হবে’ স্লোগানটা মনে থাকে, বললেন মমতা

তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। সেই স্লোগান মনে রাখতে তিনি কী করেন, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২২ ১৯:৩২
Share:

ফুটবল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

তৃণমূলের আমলে জনপ্রিয় হয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। রাজ্যে প্রতি বছর ১৬ অগস্ট ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত এই স্লোগান এখন যে কোনও কর্মসূচিতে প্রায়শই ব্যবহার করা হয়। বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এসে মমতা জানিয়ে দিলেন, ‘খেলা হবে’ স্লোগান যাতে কোনও দিন ভুলে না যান, তার জন্য বাড়িতে দিনে অন্তত ১০০ বার ফুটবল নাচান তিনি। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই ছিল ‘খেলা হবে’ দিবস।

Advertisement

এ দিন ইস্টবেঙ্গলের অনুষ্ঠানে এসে মমতা বলেছেন, “আমি ফুটবল ভালবাসি বলেই ‘খেলা হবে’ স্লোগান দিয়েছিলাম। মনে রাখবেন, আমি বাড়িতে রোজ অন্তত ১০০ বার ফুটবল নাচাই। ‘খেলা হবে’ স্লোগান যাতে কোনও সময় ভুলে না যাই, তাই মনে রাখার জন্য এটা করি। এই কাজ আমাকে বার বার মনে করিয়ে দেয় ‘খেলা হবে’র কথা। আমি খেলতে ভালবাসি। সিপিএমের আমলে মার খেতে হয়েছে। আমার দুটো হাতে এবং পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। কোমরে চোট রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমি মনের জোরে খেলাটাকে ভালবাসি এবং খেলি।” মমতা যখন এ কথা বলছেন, তখন ক্লাবে ঘন ঘন ‘খেলা হবে’ স্লোগান উঠল।

হাত দিয়ে এ ভাবে বল নাচালে কী শরীরের কোনও উপকার হয়? প্রাক্তন ফুটবলার রহিম নবি জানালেন, অবশ্যই হয়। আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “বল নাচালে মনোযোগ বাড়ে। সেটা হাতে-পায়ে যে ভাবেই নাচানো হোক। শরীর সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। এই বয়সে এত ব্যস্ততার মধ্যেও যে উনি এটা করেন, সেটা ভাবলেই অবাক হতে হয়।”

Advertisement

মনোযোগের কথা আর এক প্রাক্তন ফুটবলার তথা বিধায়ক মানস ভট্টাচার্যের মুখেও। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “বল নাচালে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। হাত থেকে সারা শরীরে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে। হাতের পেশি সতেজ থাকে। মনোযোগ তো বাড়েই। এক দৃষ্টিতে বলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। ফলে চোখও ঠিক থাকে।”

প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভা ভোটের সময় তুমুল জনপ্রিয় হয় ‘খেলা হবে’ স্লোগান। প্রথম এই স্লোগান ব্যবহার করেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ শামিম ওসমান। ধীরে ধীরে এ পার বাংলায়, বিশেষত তৃণমূলের মধ্যে তা জনপ্রিয় হয়ে যায়। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক থেকে দলনেতারাও ঘন ঘন এই স্লোগান ব্যবহার করেন।

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতার নামানুসারে ‘রাজা সুরেশ চন্দ্র মেমোরিয়াল আর্কাইভ’-এর উদ্বোধন করতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে এসেছিলেন মমতা। সেখানেই প্রায় ১৫ মিনিটের বক্তৃতা দেন। ক্লাবের জাদুঘর ঘুরে দেখেন তিনি। এই জাদুঘর দেখে মুগ্ধ তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement