মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মোহনবাগান তাঁবুতে নিজের দাদার ফুটবলপ্রেম জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। — ফাইল চিত্র
ফুটবল নিয়ে রাজ্যবাসীর আবেগ চিরকালীন। বছরের পর বছর ধরে ফুটবলের বিভিন্ন লড়াই সাক্ষী থেকেছে অনেক কিছুর। শুধু মাঠে সমর্থন করতে গিয়ে নয়, কখনও সখনও আবেগ পৌঁছে যায় ঘরের ভিতরে। অনেক সময়েই তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তেমনটা হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেই। সোমবার মোহনবাগান ক্লাবে এসে তিনি জানালেন, ফুটবলের কারণে এক সময় তাঁর দাদার ডিভোর্সই হয়ে যাচ্ছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর দাদা, অর্থাৎ অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মঞ্চেই বসে। মিটিমিটি হাসছেন। ঈষৎ লজ্জিতও। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমার দাদা মোহনবাগানের সমর্থক। কিন্তু এখন ও ইস্টবেঙ্গলে রয়েছে। সত্যিটা বলতে আমার কোনও বাধা নেই। ওর বাড়ি প্রায় ভেঙেই যাচ্ছিল। সারা ক্ষণ ফুটবল, ফুটবল, ফুটবল। এক দিন ওর বউ আমাকে বলল, আমি ওকে ডিভোর্স দিয়ে দেব। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কেন? বলে, বাড়িতে সময় দেয় না। সারা ক্ষণ ফুটবল করে বেড়ায়। এই করে জীবনটা কাটিয়ে দিয়েছে।’’
ফুটবলের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সম্পর্ক কতটা গভীর, সেটা মমতা বুঝিয়ে দিয়েছেন বক্তৃতায়। উল্লেখ করেছেন মা-বাবার কথা, যাঁরা ফুটবল পাগল ছিলেন। মমতা প্রথমে বলেন, “আমার মা খুব খেলা দেখতেন। আমি নিজে কার সমর্থক বলব না। আমি সবার সমর্থক। কিন্তু মা মোহনবাগানের খেলা হলেই কালীবাড়িতে পুজো দিতে যেতেন। আমি তখন খুবই ছোট।” উল্লেখ্য, এর আগে মোহনবাগানের নবনির্মিত ক্লাব তাঁবুর উদ্বোধন করতে এসেও মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলেছিলেন। সেটা আবার মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
মমতার কথায় উঠে এসেছেন তাঁর বাবাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমার পাড়ায় ছোট একটা ক্লাব রয়েছে, কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ। আমি এক দিন ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে দেখলাম, বাবা নাকি স্বাধীনতার আগে ওই ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। আজও বাবার নামে রেকর্ড আছে। এই জন্যে আমাদের পরিবার এমনিতেই ফুটবলের সঙ্গে আন্তরিক ভাবে জড়িত।”