প্রস্তুতি: লিস্টন বড় অস্ত্র হাবাসের। এটিকে-মোহনবাগান
প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতি ও তার পরে এএফসি কাপে তিনি দেখে নিয়েছেন চলতি মরসুমে এটিকে-মোহনবাগানে খেলতে আসা ভারতীয় ফুটবলার লিস্টন কোলাসো, দীপক টাংরিদের। বিদেশিদের মধ্যে রয়েছেন জনি কাউকো, হুগো বুমোসেরাও। তাঁদের স্পেনীয় কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাসের কাজ এ বার চূড়ান্ত দল সাজিয়ে ফেলা। গোয়ায় বেনোলিমের মাঠে প্রস্তুতির ফাঁকে সোমবার থেকে বিভিন্ন ছকে দলকে খেলিয়ে ১৯ নভেম্বরের কেরল ব্লাস্টার্স ম্যাচের মহড়া শুরু করে দিলেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ।
৩-৫-২, ৪-৪-১-১, ৪-৪-২, ৩-৫-১-১, সব ছকেই তিনি খেলিয়ে দেখে নিচ্ছেন ফুটবলারদের। সেই মতো নোটবুকে লিখে রাখছেন প্রয়োজনীয় নামগুলো। হাবাসের দর্শন স্পষ্ট—চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে ভারসাম্যের ফুটবল চাই। অর্থাৎ আক্রমণের পাশাপাশি জমাট রক্ষণও চাই। গত বছর চোট সমস্যায় শেষের দিকে রক্ষণে বিকল্প হাতে ছিল না হাবাসের। এ বার রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণ—তিন বিভাগেই তাঁর হাতে যথেষ্ট বিকল্প ফুটবলার রয়েছে।
প্রথম ম্যাচে গত বারও তাঁর দলকে খেলতে হয়েছিল কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। দুই পর্বেই দলকে শেষ মুহূর্তে গোল করে জিতিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে গত বছর ছ’টি গোল করা ও পাঁচটি গোল করানো মনবীর সিংহও এ বার খেতাব জিতে আক্ষেপ মেটাতে চান। তিনি বলছেন, ‘‘গত বছর ট্রফি হাতে তুলতে না পারার আক্ষেপ মেটাতেই হবে এ বার। কেরল ম্যাচ ও ডার্বি—পরপর দু’টি লড়াইয়ে জিততে পারলেই দলে এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস চলে আসবে। এ বার আগের বারের চেয়েও বেশি গোল করতে চাই।’’
নবাগত দীপক টাংরি এএফসি কাপে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলেছেন। হাবাস সেই প্রতিযোগিতায় তাঁকে মাঝমাঠ ও রক্ষণ, দু’জায়গাতেই ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভুল হলে কোচ শুধরে দিচ্ছেন। প্রথম দলে ঢোকাটাই চ্যালেঞ্জ।’’ আর এক নবাগত আক্রমণ ভাগের গতিময় ফুটবলার লিস্টন কোলাসো। তিনি বলছেন, ‘‘প্রত্যেক ম্যাচে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে ট্রফি জেতাতে চাই। কোচ আমাকে নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দিয়েছেন, সেগুলো মাঠে নেমে পালন করতে হবে। আক্রমণকে জোরদার রাখতেই হবে।’’