জুয়ান ফেরান্দো। —ফাইল চিত্র।
অষ্টম আইএসএলে এটিকে-মোহনবাগানের পরের ম্যাচই এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। তাই রবিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে মাঠ ছাড়তে মরিয়া ছিলেন জুয়ান ফেরান্দো। ডার্বির আগে গোলশূন্য ড্র হওয়ায় হতাশ স্পেনীয় কোচ।
গোয়ার ফতোরদা স্টেডিয়ামে ওড়িশা ম্যাচের পরে খোলাখুলিই জুয়ান বলেছেন, ‘‘এই ফলে আমি একেবারেই খুশি নই। কারণ, সব ম্যাচেই আমরা তিন পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামি।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেছেন, ‘‘সকলের অনুভূতি বুঝতে পারছি। দীর্ঘ দিন কোয়রান্টিনে থেকে ছেলেরা মানসিক ভাবে ক্লান্ত। এই কারণেই ঠিক মতো আমরা খেলতে পারিনি। অনেক
ভুল হয়েছে।’’
আগামী ২৯ জানুয়ারি পরের ম্যাচেই প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল। কোচ হিসেবে প্রথম ডার্বিতে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে? মোহনবাগান কোচের কথায়, ‘‘ফুটবলারদের দ্রুত তরতাজা হয়ে ওঠা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি, আমাদের দলের সব ফুটবলারেরই কোয়রান্টিন পর্ব শেষ হয়ে যাবে। তার পরে ধাপে ধাপে আমাদের ডার্বির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’’
ওড়িশার বিরুদ্ধে আধিপত্য ছিল মোহনবাগানেরই। ৫৫ শতাংশ বলের দখল ছিল রয় কৃষ্ণ, লিস্টন কোলাসোদের দখলে। সবুজ-মেরুনের ফুটবলাররা পাস খেলেছিলেন ৪৬১টি। ওড়িশার গোলে নির্ভুল লক্ষ্যে সাতটি শট নিলেও গোল অধরাই ছিল। জিততে না পারার কারণ কী? মোহনবাগান কোচের ব্যাখ্যা, ‘‘কঠিন ম্যাচ ছিল। ওড়িশা গত মঙ্গলবারই আগের ম্যাচটা খেলেছিল। ফলে ওদের ফুটবলাররা অনেক বেশি চনমনে ছিল। আমরা মাত্র দু’দিন অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমাদের কয়েকজন ফুটবলার তো মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে কোয়রান্টিন থেকে বেরিয়েছে। এত দিন ধরে ঘরে বন্দি থাকার পরে অনুশীলন ছাড়া ম্যাচ খেলা একেবারেই সহজ নয়। চোট পাওয়ার ঝুঁকি থাকে।’’
নির্বাসিত থাকায় হুগো বুমোস ছিলেন না ওড়িশা ম্যাচে। তাঁর অভাব যে দলের বাকি ফুটবলাররা পূরণ করতে পারেননি, তা কার্যত মেনে নিয়েছেন জুয়ান। বলেছেন, ‘‘হুগো থাকলে অনেক ছোট ছোট ব্যাপারে দলকে সাহায্য করতে পারত। কাউকো (জনি), সুসাইরাজের (মাইকেল) অভাবও অনুভব করেছি। এখন যা পরিস্থিতি, কিছু করারও নেই। ফুটবলারদের কারও চোট রয়েছে। কেউ কেউ আবার কোয়রান্টিনে রয়েছে।’’জুয়ান হতাশ লিস্টন একাধিক গোল নষ্ট করায়। বলেছেন, ‘‘লিস্টন দুটো সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল গোল করার। দুর্ভাগ্য যে সফল হয়নি। তবে ওড়িশার গোলরক্ষকও অসাধারণ খেলেছে।’’