ফাইল চিত্র।
এটিকে-মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা অনেকটাই দূর হল। আজ, বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে প্রীতম কোটালদের কোয়রান্টিন পর্ব। ফলে ১৫ জানুয়ারি সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে তাঁদের দ্বৈরথ নিয়ে যে সংশয় তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে।
গত শনিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগেই মোহনবাগানের তিন ফুটবলার ছাড়া আরও এক জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকলকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ‘হার্ড কোয়রান্টিনে’। জানিয়ে দেওয়া হয়, টানা তিনটি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ না এলে কেউ ঘরের বাইরে বেরোতে পারবেন না। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে গত সোমবার রাতে নতুন করে আরও চার জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ হওয়ায়। তার পর থেকেই বেঙ্গালুরু ম্যাচ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। চিন্তিত হয়ে পড়েন ফুটবলাররা। হোটেলের ঘরে বন্দি থাকলেও বেঙ্গালুরু ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি তাঁরা শুরু করে দিয়েছিলেন।
আইএসএলের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মার্টিন বেন সম্প্রতি সব দলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যদি ১৫ জন ফুটবলার থাকে, তা হলে ম্যাচ হবে। এমনকি, কোনও দলে ১৫ জনের কম ফুটবলার থাকলেও খেলা বাতিল হবে না। এই পরিস্থিতিতে বিপক্ষ দলকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করা হবে। যদি দেখা যায় মুখোমুখি দু’দলেই পর্যাপ্ত ফুটবলার নেই, সে ক্ষেত্রে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র ঘোষণা করে পয়েন্ট তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।