ফেরান্দোর নীতি স্পষ্ট, প্রথম মিনিট থেকেই দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শানিয়ে হায়দরাবাদের দুর্বলতম জায়গা দুই সাইডব্যাককে ব্যস্ত রাখতে হবে। তা হলেই বার্তেলোমেউ ওগবেচের কাছে বলের জোগান কমবে। সেই সুযোগেই আক্রমণে জোর দিয়ে হায়দরাবাদ রক্ষণকে কোণঠাসা করে গোল তুলে আনতে হবে।
অস্ত্র: অনুশীলনে মগ্ন রক্ষণের অন্যতম ভরসা সন্দেশ। ছবি টুইটার।
আইএসএল ফাইনালের ছাড়পত্র নিশ্চিত করতে হলে কাল, বুধবার সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে হায়দরাবাদ এফসি-এর বিরুদ্ধে তিন গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে। দু’গোলের ব্যবধানে জিতলে খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত।
এটিকে-মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো যদিও কোনও অঙ্কেই ছেলেদের মাথা ঘামাতে দিতে চান না। রয় কৃষ্ণদের স্পেনীয় গুরু প্রথম পর্বের সেমিফাইনালে ১-৩ হারের পরে রবিবার দলকে ছুটি দিয়েছিলেন। সোমবার দল নিয়ে অনুশীলন করেন বিকেলে। সেখানে তিনি হুগো বুমোস, প্রীতম কোটালদের নাকি বলে দেন, মাঠে নেমে কত গোলের ব্যবধানে জিতলে ফাইনাল খেলতে পারবে, এই চিন্তা মন থেকে সরিয়ে ফেলো। তার পরিবর্তে ফুটবল উপভোগ করতে হবে। তা হলেই সুযোগ তৈরি হবেই এবং তা কাজে লাগাতে হবে। প্রথম পর্বের সেমিফাইনালের প্রথম আধঘণ্টার ছন্দ ধরে রাখা গেলেই ফাইনালে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ফেরান্দো।
বোঝাই যাচ্ছে সীমাহীন চাপের মধ্যে নিজে থাকলেও ফেরান্দো ফুটবলারদের উপরে তা চাপিয়ে দিতে চান না। বরং ফাইনালে যাওয়ার জন্য দলের আক্রমণ ভাগকেই বেশি সক্রিয় করতে চাইছেন তিনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ম্যাচে তিরি খেলবেন কি না। শনিবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি। সবুজ-মেরুনের এই ডিফেন্ডার খেললে রক্ষণ নতুন করে সাজাতে হবে না।কিন্তু তিরি না খেললে সন্দেশের সঙ্গে কার্ল ম্যাকহিউকে নামিয়ে রক্ষণ সাজাতে হতে পারে ফেরান্দোকে। না হলে, আগের মতো প্রীতমকে স্টপারে এনে প্রবীর দাসকে রাইট ব্যাকে খেলানোর মহড়াও এ দিন দিয়ে রেখেছেন ফেরান্দো। তিরি যদিও এ দিন দলের সঙ্গে রিকভারি সেশনে ছিলেন। রাতের দিকের খবর, তাঁর চোট তেমন গুরুতর নয়। তাই সবুজ-মেরুনের ফিজিয়োরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তিরিকে ম্যাচ খেলার উপযোগী করে তুলতে ব্যস্ত।
ফেরান্দো সোমবার যে ভাবে অনুশীলন করিয়েছেন তা থেকে পরিস্কার, বুধবার আক্রমণই হতে চলেছে তাঁর রণনীতি। সে কারণেই এ দিন দুই প্রান্তে লিস্টন কোলাসো ও প্রবীর দাসকে রেখে একের পর এক ক্রস ফেলতে বলছিলেন বক্সে। সেই বল লক্ষ্য করে গোল করার অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন রয় কৃষ্ণ, হুগো বুমোস, ডেভিড উইলিয়ামসরা। এ ছাড়াও সেট-পিসে গোলের মহড়া ও বিপক্ষের সেট-পিস রোখার অনুশীলনও এ দিন হয়েছে জোরকদমে।
ফেরান্দোর নীতি স্পষ্ট, প্রথম মিনিট থেকেই দুই প্রান্ত দিয়ে আক্রমণ শানিয়ে হায়দরাবাদের দুর্বলতম জায়গা দুই সাইডব্যাককে ব্যস্ত রাখতে হবে। তা হলেই বার্তেলোমেউ ওগবেচের কাছে বলের জোগান কমবে। সেই সুযোগেই আক্রমণে জোর দিয়ে হায়দরাবাদ রক্ষণকে কোণঠাসা করে গোল তুলে আনতে হবে। ফেরান্দো বলেছেন, ‘‘চোট-সমস্যা একটা মাথাব্যথার কারণ। তবে বুধবারের ম্যাচের আগে আরও একটা মহড়ার দিন পাওয়া যাবে। সেখানে সবাইকে দেখে নেওয়ার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’